জুমবাংলা ডেস্ক: স্থানীয় পর্যায়ে ত্রাণ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার কাজগুলো যথাযথভাবে হচ্ছে কি না, তা খোঁজখবর নেওয়ার জন্য প্রতি জেলায় একেকজন সচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘একেক জেলায় একেকজন সচিবকে দায়িত্ব দিয়েছি যে এই ত্রাণ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার কাজগুলো যথাযথভাবে হচ্ছে কি না, তা খোঁজখবর নেবেন এবং সেই রিপোর্ট আমাকে দেবেন।’
আজ সকালে সকালে গণভবন থেকে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের আট জেলার কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে দেওয়া সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের যারা দলীয় লোকজন আছেন, তাঁদের নির্দেশনা দেওয়া আছে দলের পক্ষ থেকে। ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত কমিটি করে দেবে। সেখানে যাঁদের ত্রাণ পাওয়ার কথা, তাঁরা যেন পান। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তাঁরা কাজটি করবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক আগেই বলেছিলাম এপ্রিল মাসটা আমাদের জন্য কষ্টের হবে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়াতে পারে। এ মাসে সবাইকে সাবধানে থাকার জন্য সতর্ক করা হয়েছিল। ঠিক তাই হয়েছে। এ মাসে বৃদ্ধি পেয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সারা বিশ্বে যখন হাজার লোক মারা যাচ্ছে, সেখানে আজকে এপ্রিল মাসের ২০ তারিখ, এখন পর্যন্ত আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। আমাদের জনগণ যদি আরেকটু সচেতন থাকে, আরেকটু নিজেকে সুরক্ষিত রাখে, তাহলে এটা সকলের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ।’
করোনাভাইরাসের জন্য সারা বিশ্বব্যাপী যে খাদ্য মন্দা সৃষ্টি হবে তাতে আগামীতে বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা যদি খাদ্য উৎপাদন করে খাদ্য মজুত রাখতে পারি তাহলে আমরা দুর্ভিক্ষে পড়ব না। বরং আমরা অনেককেই সাহায্য করতে পারব। সেই ব্যবস্থা এখন থেকে নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের মাটি উর্বর, মানুষ অনেক কর্মঠ, বাংলাদেশ খাদ্যে এখন উদ্বৃত্ত।’
‘কারও এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। সেদিকে দৃষ্টি দেবেন। সেটাই আমি চাই। যে যা পারেন কিছু চাষ করেন। ধান কাটার পরে নতুন আরেকটা ফসল কি করা যায় আমাদের সেটা করা উচিত,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।