জুমবাংলা ডেস্ক : ত্রাণ নেওয়ার পর ক্যামেরার দিকে তাকাতে হবে। তা না হলে জুটবে চড়-থাপ্পড় আর দুর্ব্যবহার। শুক্রবার দুপুরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়ন কমপ্লেক্সে এই ঘটনা ঘটেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হলে ওই এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
দৌলতপুরে দরিদ্র দিনমজুর ও অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের মাঝে সরকারি ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করার সময় ক্যামেরার দিকে না তাকানোর জন্য তাদের চড়-থাপ্পড় দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন বিশ্বাস মহি।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডের দরিদ্র, দিনমজুর, অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের মাঝে সরকারি ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করার সময় মোবাইলে ছবি ধারণ করা হয়। ত্রাণ দেওয়ার ছবি ধারণ করার সময় মোবাইলের দিকে তাকাতে বলেন ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন বিশ্বাস মহি। এসময় কেউ না তাকালে তার কপালে জুটছে চড় ও থাপ্পড়। মোবাইলের দিকে তাকাতে বাধ্য করা হয়।
এসময় চেয়ারম্যানের চড়-থাপ্পড় খেয়ে অনেকের মুখের মাস্ক মুখ থেকে পড়ে যেতেও দেখা যায়। আবার ক্যামেরার দিকে না তাকানোর জন্য নারী ত্রাণ গ্রহীতাদের শাড়ির আঁচল ধরেও টানতে দেখা যায়।
বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন বিশ্বাস মহির এমন কর্মকাণ্ডের ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে প্রশাসনসহ সর্বমহলে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন বিশ্বাস মহি বলেন, কে বা কারা ত্রাণ বিতরণ করার সময় আমার ছবি তুলেছে। তবে এমন ঘটনার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তবে বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন বিশ্বাসের এমন কর্মকাণ্ড ঘটানোর বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, বিষয়টি ডিসি স্যারকে জানিয়েছি। ডিসি স্যার ডিডিএলজি স্যারকে তদন্ত দিয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।