জুমবাংলা ডেস্ক : মুন্সীগঞ্জের ত্রিপল মার্ডারের প্রধান আসামি সৌরভ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার আদালতে হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন সৌরভ। গত বুধবার রাতে চাঁদপুর-মুন্সীগঞ্জ সীমান্ত এলাকা থেকে সৌরভকে গ্রেফতার করে জেলা ডিবি পুলিশ। এরপর তাকে জেলার ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ পর্যন্ত এজাহার নামীয় সাতজনসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জে এই প্রথম কিশোর গ্যাং কর্তৃক পরিকল্পনা করে তিনজনকে হত্যা করা হয়। ইতোমধ্যে এই পরিকল্পনাকারীদের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত নিয়ে মুন্সীগঞ্জে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে। ডিবির ওসি মো. মোজাম্মেল হক মামুন জানান, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সৌরভের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালিয়ে গাজা ক্রয়রত অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরো জানান, সৌরভকে গ্রেফতারের মধ্যে দিয়ে সরাসরি কিলিং মিশনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। সৌরভের উড়ো চিঠির বিষয়ে ডিবি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অস্বীকার করেছে। তবে এই উড়ো চিঠির বিষয়টি শুরু থেকে পুলিশ আমলে নিচ্ছে না। সৌরভ আদালতে ১৬৪ ধারামতে এ জবানবন্দি দিয়েছেন।
সৌরভের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির মাধ্যমে তিনজনকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীদের তথ্যসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে ডিবি পুলিশের দাবি। গত ২৪ মার্চ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ইভটিজিংয়ের বিষয় নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক চালের বস্তা থেকে চাল বের করার ৬টি ভোঙ্গা দিয়ে উপর্যপুরি পেটে আঘাত করে হত্যা করা হয় তিনজনকে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় ইমন পাঠান, মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়ার পর মৃত্যুবরণ করে সাকিব। পরের দিন বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে মারা যান পৌরসভার নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কাউন্সিলর প্রার্থী আওলাদ হোসেন মিন্টু প্রধান। ঘটনার সাথে সাথে তিনজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অপর আসামি আপন তিন ভাই শামীম প্রধান, সিহাব প্রধান ও সাকিব প্রধানকে খুঁজছে পুলিশ।
ঘটনার এজাহার থেকে জানা যায়, সৌরভ, সিহাব, শামীম পক্ষের ভোঙ্গার আঘাতে অপর পক্ষের ইমন হোসেন পাঠান (২২), মো. সাকিব হোসেন (১৯), আওলাদ হোসেন মিন্টু মারা যায়। এ ঘটনায় ২৫ মার্চ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার পর আওলাদ হোসেন মিন্টু প্রধানের স্ত্রী খালেদা আক্তার পুতুল বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মুন্সীগঞ্জ সদর থানায়। এই মামলায় এজাহার নামীয় জামাল হোসেন (৫২), মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৫০), মো. রনি (৩২), মো. ইমরান হোসেন (২০), রাহুল প্রধান (২২), অভি প্রধান (২০) ও সৌরভসহ ১০ জন গ্রেফতার করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।