আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পুলিশ বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে হিন্দু সম্প্রদায়ের ১০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে। এদের মধ্যে দুইজন নারী, তিন জন কিশোর এবং একজন বয়স্ক ব্যক্তি রয়েছেন। পুলিশ বলছে, ত্রিপুরার আমবাসা রেলওয়ে স্টেশন থেকে আসামের শিলচরের উদ্দেশ্যে ট্রেনে উঠার চেষ্টাকালে তাদেরকে আটক করা হয়।
কর্মকর্তা বলেছেন, “আইন অনুযায়ী বাংলাদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হবে”। আটককৃতদের একজন শংকর চন্দ্র সরকার জানান, তারা কিশোরগঞ্জ জেলার ধনপুর গ্রাম থেকে পালিয়ে ভারতে গিয়েছেন। জঙ্গল ঘেরা পাহাড়ের মধ্য দিয়ে তারা শনিবার কমলপুর (ত্রিপুরার ধলাই জেলায়) হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন বলেও জানান।
শংকর নিজেকে একজন ড্রাইভার পরিচয় দিয়ে বলেছেন, “আমরা কোন অবস্থাতেই বাংলাদেশে ফিরে যাব না। বাংলাদেশের পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ।” স্থানীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে আটককৃত বাংলাদেশিরা বলেছেন, ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগে তারা নিজেদের সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছিলেন। আর শংকর দাবি করেছেন, হাজার হাজার হিন্দু পরিবার ভারতে আসতে চেয়েছিল, কিন্তু বিভিন্ন কারণে তারা যান নি।
এদিকে গত চার মাসে, সাড়ে পাঁচশরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক এবং ৬৩ জনের বেশি রোহিঙ্গাকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করার পরে আগরতলা রেলওয়ে স্টেশন এবং ত্রিপুরার অন্যান্য জায়গা থেকে সরকারি রেলওয়ে পুলিশ, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এবং ত্রিপুরা পুলিশ আটক করেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
এছাড়া গত জুন-জুলাই মাসে বাংলাদেশের অস্থিরতা শুরুর পর, বিএসএফ আন্তঃসীমান্ত অপরাধ এবং অনুপ্রবেশ ঠেকাতে প্রতিবেশী দেশের সাথে চার হাজার ৯৬কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরাম এবং আসামের সঙ্গে বাংলাদেশের সাথে সীমান্ত রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।