জুমবাংলা ডেস্ক: সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার চর বেলকুচি গ্রামের বেকারি দোকানের কর্মচারী শাহ আলম (৩৫) হত্যার রহস্য দীর্ঘ ৪ বছর ৭ মাস পর উদঘাটন করেছে সিআইডি পুলিশ।
বুধবার (৪ জুলাই) সিরাজগঞ্জ সিআইডি কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এর আগে একই দিন বিকেলে এ হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি জুলহাস ওরফে জুলু (৫৭) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আদালতে জুলহাস ওরফে জুলুর জবানবন্দিতে জানা যায়, বওড়া গ্রামের তালাকপ্রাপ্ত নারী কাকলির সঙ্গে শাহ আলম ও জুলহাসসহ ৩ জনের প্রেমের সম্পর্ক হয়। বিষয়টি শাহ আলম জানতে পেরে প্রেমিকাকে গালিগালাজ করেন এবং বাকি প্রেমিকদের আসতে বারণ করেন। এতে জুলহাস ও তাদের প্রেমিকাসহ ৩ জনই ক্ষুব্ধ হয়ে শাহ আলমকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এক পর্যায়ে ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি রাতে শাহ আলম কাকলির সঙ্গে দেখা করতে এসে তার বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন। এ সুযোগে কাকলি ও তার দুই প্রেমিক বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ গুমের উদ্দেশে দুর্গম যমুনা নদীর চরের ছোনের ভেতরে ফেলে দেয়। পরে এ হত্যার রহস্য দীর্ঘ ৪ বছর ৭ মাস পর উদঘাটন করে সিআইডি পুলিশ।
সিরাজগঞ্জ সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ২০১৭ সালের ২৭ জানুয়ারি বেলকুচি উপজেলার যমুনার চরাঞ্চলে ছোনের ভেতর থেকে দোকান কর্মচারী শাহ আলমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শাহ আলম উপজেলার বওড়া গ্রামের মৃত জামাল মোল্লার ছেলে। ওই দিন নিহতের স্ত্রী মোছা. শিরিনা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে। পরবর্তীতে ক্লু-লেস এ মামলাটি সিআইডিকে হস্তান্তর করা হয়।
এরপর সিআইডি পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে তদন্ত কার্যক্রম চালায়। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) এ মামলার অন্যতম আসামি জুলহাস ওরফে জুলুকে কামারখন্দ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে মামলার সব রহস্য উন্মোচিত হয়। বুধবার (৪ আগস্ট) জুলহাস ওরফে জুলু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।