আটলান্টিকের বুকে এরকম বিচ্ছিন্ন দ্বীপ রয়েছে যেখানে পৌঁছাতে হলে আপনাকে মাছ ধরার নৌকা বা ছোট বোটের সহায়তা নিতে হবে। মূল পৃথিবী থেকে এরা বেশ বিচ্ছিন্ন এবং এখানে অনেক মানুষও বাস করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা ব্রিটিশ নাগরিক। এ দ্বীপের নাম Tristan da Cunha।
এখানে মাত্র একটি গ্রাম অবস্থিত। অঞ্চলটির আয়তন ৯৮ বর্গ কিলোমিটার। আপনি জেনে অবাক হবেন যে জনসংখ্যা মাত্র 245 জন। এ দ্বীপের সবথেকে কাছের দেশ হলো দক্ষিণ আফ্রিকা। বর্তমানের দ্বীপটি ব্রিটেনের অধিকার থাকলেও এক পর্তুগিজ এটি আবিষ্কার করেন।
প্রথমে মিলিটারির উদ্দেশ্যে দ্বীপটি ব্যবহার করা শুরু হলেও এরপর সাধারণ মানুষ বাস করতে শুরু করে। প্রশাসনিক কাজ সামলানোর জন্য একটি কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে এখানকার মানুষ।
দ্বীপের মাটি বেশ উর্বর এবং ফসল ফলানোর জন্য উপযুক্ত। এখানে আলু প্রধান কৃষিজ দ্রব্য হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে। পশু পালনের সাথে জড়িত খামারের অধিবাসীরা। এদের মৎস্য সম্পদ বেশ সমৃদ্ধশালী। এখানকার কিছু মাছ জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়ে থাকে।
এখানে হাসপাতাল, পোস্ট অফিস, স্কুল অবস্থান করে। সকল নাগরিক সুবিধা এখানে পাওয়া যায়। ৩ থেকে ১৬ বছরের বাচ্চাদের শিক্ষাদান করার জন্য স্কুল রয়েছে। এখানে ইন্টারনেটের সুবিধা রয়েছে এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য ব্রিটেন বা দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
এখানে মানুষের কাছে 1961 সাল গুরুত্বপূর্ণ বছর হিসেবে পরিচিত। সেবার আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত ঘটেছিল এখানে। সেজন্য মানুষ এই অঞ্চল ছেড়ে ব্রিটেনে চলে যায়। পরে তারা আবার ফিরে আসে। ২০১৩ সালে এখানে নতুন পার্ক চালু হয়।
পেঙ্গুইন, সিল ও তিমি মাছ ছাড়া নানা ধরনের জীবের বৈচিত্র রয়েছে এখানে। পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য এটি যথেষ্ট ছিলো। আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো বাস বা পায়ে হেঁটে পুরো দ্বীপ ভ্রমণ করা সম্ভব। এখানে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে প্রবেশ করা এতটা সহজ নয়। আপনাকে প্রথমে আবেদন করতে হবে এবং জাহাজের সময়সূচী অনুযায়ী প্রস্তুত থাকতে হবে। অফিসিয়াল কার্যক্রম শেষ হতে এক বছর সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করা লাগতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।