থাইল্যান্ডের সৌন্দর্য সব পর্যটককেই মুগ্ধ করে। সেখানকার সাদা বালির সমুদ্রসৈকত, রাতে ঘোরাঘুরি, হৈ-হুল্লোরসহ ঐতিহাসিক সব দর্শনীয় ইমারত দেখতে প্রতি বছর লাখো পর্যটক থাইল্যান্ডে ভিড় করেন। বিশেষ করে আবার হানিমুন ডেস্টিনেশন হিসেবে বেশি জনপ্রিয় থাইল্যান্ড।
মূলত কম খরচে বিদেশ বেড়ানোর জন্য থাইল্যান্ড হতে পারে সেরা গন্তব্য। দেশটি যেমন সুন্দর, তেমনই আকর্ষণীয় সেখানকার খাবার, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও জনগণ। যারা এরই মধ্যে থাইল্যান্ড ভ্রমণে যেতে ইচ্ছুক তারা সেখানকার কয়েকটি জনপ্রিয় স্পটে ঢুঁ মেরে আসতে ভুলবেন না।
ব্যাংকক
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের নাইটলাইফ, খাবার, কেনাকাটা, মন্দির, দর্শনীয় স্থানগুলোর যেন সেরা। বিশ্বের বৃহত্তম ওপেন এয়ার বাজার থেকে শুরু করে চার তলা শপিং কমপ্লেক্স সবই পাবেন সেখানে।
নভেম্বর থেকে মার্চ যে কোনো সময় ব্যাংকক ঘুরে আসতে পারেন। সেখানে গিয়ে লুম্বিনি পার্কে, চাওফ্রায়া নদীতে লংটেইল বোট রাইড করুন কিংবা চুপচাপ বসে থেকে সূর্যাস্ত দেখুন।
পাতায়া
থাইল্যান্ডে গেলে কিছু জায়গা যেগুলোর কথা মনে করিয়ে দিতে হয় না তার মধ্যে পাতায়া অন্যতম। পাতায় অবশ্য হানিমুনের জন্যেও বিখ্যাত। তবে নারী সান্নিধ্য ও মদ্যপানের এভেইলেবিলিটী থাকায় এই জায়গা কে অনেকে পাপের শহর বলে থাকেন। তাই অনেকেই এখানে প্রাপ্ত বয়স্ক ছাড়া ভ্রমণে নিষেধ করে থাকেন।
তবে এসবের পাশাপাশিও আছে দেখার মতো বেশ কিছু জায়গা। দন্যান্য সী বীচ গুলোর মতো অতো সুন্দর না হলেও পাতায়ার সূর্যাস্ত আপনার মন কেড়ে নেবে। স্নোরকেলিং এর জন্য কাছেই আছে ভিন্ন এক সী বীচ। কাঠের তৈরি ‘’ স্যাংকচুয়ান অফ দ্য ট্রুথ “ মূর্তি গুলো বেশ আকর্ষণীয়। এখানে আসলে অবশ্য নুচ বোটানিক্যাল গার্ডেন দেখতে ভুলবেনন না। নানারকম মূর্তি, ফুলের বাগান ও ফোয়ারা সমৃদ্ধ এই জায়গা ভ্রমণ আপনাকে বিশেষভাবে অভিভূত করবে।
ফুকেট
হানিমুনের সেরা জায়গা হতে পারে ফুকেট। ব্যক্তিগত মুহূর্ত কাটানোর সেরা স্থান সেটি। সাদা বালি ও নীল জলের ফুকেট প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে এক স্বর্গরাজ্য। হানিমুনে সেখানে গেলে খরচও তুলনামূলক কম হয়।
ফুকেটের খাবার ও হোটেলের ভাড়াও সাধ্যের মধ্যেই। ফুকেট ঘোরার সেরা সময় নভেম্বর থেকে এপ্রিল মাস। ফুকেটে গেলে ফি ফি আইল্যান্ডে ভ্রমণ করতে ভুলবেন না। সঙ্গীর সঙ্গে স্কুবা ডাইভিং উপভোগ করুন, দর্শনীয় স্থান ঘুরুন, স্পা থেকে ঘুরে আসুন।
ক্রাবি
অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী দম্পতিদের কাছে ক্রাবি হতে পারে অনেক উপভোগ্য। সঙ্গীর সঙ্গে উপভোগ করতে পারবেন স্নরকেলিং। চাইলে পানীয় হাতে সমুদ্রসৈকতে শুয়েও থাকতে পারবেন নিশ্চিন্তে। নভেম্বর থেকে মার্চ, যে কোনো সময় ঘুরে আসতে পারেন ক্রাবি থেকে। ক্রাবিতে গেলে টাইগার গুহা মন্দির ঘুরতে ভুলবেনন না।
কোহ সামুই
তালগাছে ঘেরা অপূর্ব সুন্দর সৈকত হল কোহ সামুই। সেখানে ঘোরার সেরা সময় ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস। ফিরোজা রঙের জল ও অপূর্ব সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কোহ সামুইকে সাজিয়ে তুলেছে। নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চাইলে ঘুরে নিন শান্ত লামাই সমুদ্র সৈকত ও শান্ত বোফুটের ফিশারম্যানস্ ভিলেজ।
হুয়া হিন
হানিমুন কাপলদের জন্য অন্যতম এক স্থান। অতীতে এই স্থান ছিল থাই রাজাদের গ্রীষ্মকানীন অবসর যাপনের স্থান। তাদের প্রাসাদগুলো আজও সেই স্মৃতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। হুয়া হিন দেখার সেরা সময় নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি।
কাঞ্চনা বুরি
কাঞ্চনা বুরি অবস্থিত থাইল্যান্ডের পশ্চিমে। থাইল্যান্ডের যুদ্ধ নিয়ে ঐতিহাসিক সুন্দর এই জায়গা টি। এখানে আছে কুয়াই নদী। যার উপর দাঁড়িয়ে এখানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন হাজার হাজার পর্যটক। এখানে আছে ডেথ রেলওয়ে। এই রেলওয়ে নির্মাণের পেছনে যে সুদীর্ঘ রহস্যময় ইতিহাস লুকিয়ে আছে তা জানতেই আপনাকে ভ্রমণ করতে হবে এখানে।
প্রা থাট নামের একটি গুহা এখানে পাবেন। এই গুহা কে শান্তির স্থান বলে আখ্যায়িত করা হয়। জনমানব থেকে দূরে এসে মেই খামিন নামক একটি জলপ্রপাত উপভোগ করতে পারেন এখানে। যুদ্ধকালীন কবরস্থান পাবেন এখানে। বিশাল বিশাল মন্দির আর ন্যাশনাল পার্কের সমারোহ এই জায়গায়। থাইল্যান্ডের ভেতরেই এ যেন এক ভিন্ন জায়গা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।