গোপাল হালদার, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীতে স্বামীকে ছুরিকাঘাতের পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন এক নারী। পুলিশ বলেছে, তিনি স্বামীকে ছুরিকাঘাতের পর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করলে তাঁকে আটক করা হয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায় তাঁর স্বামী মারা গেছেন।
আজ শুক্রবার বিকেলে পটুয়াখালী সদর উপজেলার পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কলাতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যাক্তির নাম মোঃ রাকিব ইসলাম (২০) আর আত্মসমর্পণকারী তাঁর স্ত্রী হলেন মীম আক্তার (১৮)।
পরিবার সুত্রে জানাযায়, রাকিব ইসলাম তার স্ত্রী মিমের সাথে দীর্ঘদিন প্রেমের পরে ছয় মাস পূর্বে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই তাদের সাথে পারিবারিক কোলাহল চলতে থাকে। তিন মাস আগে পারিবারিক কোলাহলের কারণে রাকিবের মা’কে রাকিব তাদের গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
আজ বিকেল সাড়ে চারটায় মিমের সাথে রাকিবের ঝগড়া হলে রাকিবের ছোট ভাই পাভেল শুনতে পেয়ে তার পিতা নজরুল ইসলাম ঘটনা জিজ্ঞেস করলে মিম ঝগড়া কথা স্বীকার করেন এবং রাকিব ঘুমিয়েছে বলে তার শশুরকে জানান।
এদিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বিকেল সারে ৫টার দিকে পটুয়াখালী সদর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন মিম। তিনি থানায় গিয়ে পুলিশকে বলেন, ‘আমার স্বামীকে আমি ছুরি মেরে এসেছি।’ তখন পুলিশ তাঁকে আটক করে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পায়। পরে পুলিশ বসত ঘর থেকে রাবেয়ার লাশ উদ্ধার করে।
মৃত মোঃ রাকিব ইসলাম ভোলার জেলার লাল মোহন উপজেলার ফুলবাগিছিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামে ছেলে ও আত্মসমর্পণকারী মিম পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইটবারিয়া ইউনিয়নের জুয়েল আকনের মেয়ে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমাদ মাঈনুল হাসান বলেন, আজ সন্ধ্যায় মিম নামের এক নারী তার স্বামীকে হত্যার দ্বায় স্বীকার করে সদর থানায় আত্মসমর্পণ করেন। আমাদের কাছে বিষয়টি অস্বাভাবিক মনে হলে আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্য পাঠাই এবং ঘটনার সত্যতা পাই। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।