আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিষ্ঠুরতার সীমা ছাড়িয়ে নি’র্যাতন। সেটাও আবার খোদ আইনের রক্ষকদের হাতে। ভারতের আসাম রাজ্যে ঘটেছে এমন নির্মম ঘটনা।
আসামের দারাং জেলার একটি থানায় তিন বোনকে বি’বস্ত্র করে নি’র্যাতনের অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সিপাঝর থানায় দায়ের করা অভিযোগে তিন বোন বলেন, তাদেরকে থানায় আটকে বিবস্ত্র করে নি’র্যাতন করা হয়েছে। তাদের একজন বলেন, তিনি গর্ভবতী ছিলেন এবং নি’র্যাতনের কারণে তার গর্ভপাত হয়।
অভিযোগ দায়েরের পর দারাং জেলার বুরহা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এবং এক নারী পুলিশ কনস্টেবলকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে এনডিটিভি।
একটি নিউজ চ্যানেলকে ওই তিন নারীর দেওয়া সাক্ষাৎকারের পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
অভিযোগ দায়েরকারী এক ভুক্তভোগী বলেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর গুয়াহাটির সাতগাঁও এলাকায় নিজ বাসা থেকে স্বামী এবং দুই বোনসহ তাকে পুলিশ সদস্যরা তুলে নিয়ে দারাং জেলার বুরহা পুলিশ ফাঁড়িতে রাখে।
পুলিশ সূত্র জানায়, ওই নারীর ভাই এক নারীকে নিয়ে পালিয়ে যান যিনি অন্য ধর্মাবলম্বী। ওই ঘটনায় দারাং জেলায় একটি অপহরণ মামলা হলে অভিযুক্তের স্বজনদের তুলে আসে পুলিশ।
দারাং পুলিশ সুপার অমৃত ভূঁইয়ার কাছে পৃথক এক অভিযোগে ২৮ বছর বয়সী ওই গৃহবধূ বলেন, গত ১০ সেপ্টেম্বর তিনি, তার স্বামী ও দুই বোনকে বিবস্ত্র করে পেটান দুই পুলিশ কর্মকর্তা- ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহেন্দ্র শর্মা এবং নারী কনস্টেবল বিনিতা বোরো।
তারা বলেন, বন্দুকের মুখে ফাঁড়ির ইনচার্জ মহেন্দ্র শর্মা তাদের নির্যাতন করেন। এমনকি গর্ভবতী নারীকেও নির্যাতন থেকে রেহাই দেননি তিনি।
পুলিশ সূত্র জানায়, নির্যাতিতা নারীদের একজন গর্ভবতী কি-না সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত নন। মেডিকেল রিপোর্টের অপেক্ষা আছেন তারা।
এদিকে ঘটনাটি তদন্তে একজন জ্যেষ্ঠ ইন্সপেক্টর জেনারেলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।