বিজ্ঞানীরা অস্ট্রেলিয়ার Alice Springs শহরে বিলুপ্ত প্রাণী থান্ডারবার্ডের অবিশ্বাস্য বড় রকমের হাড়ঁ খুঁজে পেয়েছেন। এটি গবেষণা করে তাদের জীবনকাল এবং যৌন প্রক্রিয়া সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়।
কেপটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এ হাড়ঁ এর গঠন প্রণালী সম্পর্কে গবেষণা করে পাখির আকার এবং তাদের বংশ বৃদ্ধি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জোগাড় করতে সক্ষম হয়েছে।
থান্ডারবার্ড পাখিটি সাইজে অনেক বড় ছিল। হাজার হাজার বছর ধরে তারা এ পৃথিবীতে টিকে ছিল। তবে তাদের বংশবৃদ্ধি প্রক্রিয়া এবং জনন কার্যের পদ্ধতি ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হতে থাকে।
বিজ্ঞানীরা ধারণা করছে যে পরিবেশ এবং জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণেই তারা পৃথিবী থেকে পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যায়। আসলে অস্ট্রেলিয়ায় আগের থেকে অনেক গরম পড়ছে। তাপমাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ধরনের আবহাওয়া ও জলবায় পাখির টিকে থাকার পক্ষে উপযুক্ত ছিল না।
বিজ্ঞানীরা বোঝার চেষ্টা করছেন যে পরিণত বয়সে পৌঁছাতে এবং জননকার্যের জন্য উপযুক্ত হতে তাদের কি পরিমাণ সময় লাগছে এবং মানুষের সাথে কেন তারা খাপ খাইয়ে নিতে পারল না।
থান্ডারবার্ডের মধ্যে নারী পাখি জননকার্যের জন্য উপযুক্ত হতে কী পরিমান সময় নিয়েছে সেটাও জানার চেষ্টা করছে বিজ্ঞানীরা।
বর্তমানে ইমু পাখির অস্তিত্ব এখনো বিরাজমান রয়েছে। ওই সময় ইমু পাখির সাথে থান্ডারবার্ডপৃথিবীতে টিকে ছিল। বিজ্ঞানীরা জানতে পারেন যে হয়তো এটি দুনিয়ার সবথেকে বড় পাখি ছিল এবং পরিণত বসে পৌঁছাতে তাদের ১৫ বছরের মত সময় লেগে যেত।
অনেক পশুর থেকে তাদের সাইজ বড় ছিল এবং ওজনে ছিল ২৪০ কেজি। বর্তমানে অনেক আধুনিক পাখির থেকেও তাদের বেড়ে ওঠার পদ্ধতি ধীরগতি ছিল।
থান্ডারবার্ড এবং ইমু পাখি লম্বা সময় ধরে পৃথিবীতে একসাথে বিরাজ করেছে যতক্ষণ পর্যন্ত শেষ থান্ডারবার্ড পাখিটি মৃত্যুবরণ করে।
বর্তমানে আধুনিক পাখিরা দ্রুত বংশবৃদ্ধি করতে পারে। তবে ওই সময় এই বিশাল পাখিটি জলভাবে পরিবর্তনের কারণে তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ইমু পাখি পরিণত বয়সে পৌঁছাতে এবং বাচ্চা জন্ম দিতে এক থেকে দুই বছর সময় নেয়। কিন্তু থান্ডারবার্ডের পক্ষে তা সম্ভব হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।