আব্বাস পটুয়াখালী জেলা সদরের পইক্কা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। সে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি বাতানপাড়া এলাকার একটি বাসায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বাসা থেকে নাজনীন ও তার দুই মেয়ের মরদেহ উদ্ধারের পর ওইদিন বিকালে আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতরের একটি কমিউনিটি সেন্টার থেকে আব্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে ইয়াবায় আসক্ত। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হ’ত্যার দায় স্বীকার করে আব্বাস জানিয়েছে, তার স্ত্রী ইয়াসমিন ও মেয়ে সুমাইয়া প্রায়ই রাগ করে ভায়রার বাসায় চলে যেত। এসব বিষয় নিয়ে একবার ভায়রা সুমন তাকে চড়-থাপ্পড় মেরেছিল। এছাড়া শ্যালক হাসানও শাসাত। ওই জিদ থেকেই শ্যালিকা ও তার সন্তানদের হ’ত্যার পরিকল্পনা করে আব্বাস। যাতে তার স্ত্রী আর ওই বাসায় যেতে না পারে।’
আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ আরও বলেন, ‘গত বুধবার রাতে আব্বাসের স্ত্রী ইয়াসমিন মেয়ে সুমাইয়াকে নিয়ে বোনের বাসায় চলে যান। পরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে একটি ধারালো অস্ত্র নিয়ে আব্বাস তার ভায়রার বাসায় যায়। এ সময় স্ত্রী ইয়াসমিন ও ভায়রা সুমন বাসায় না থাকার সুযোগে প্রথমে শ্যালিকা নাজনীন এবং পরে তার শিশুকন্যা নূজরাত ও খাদিজাকে গলা কে’টে হ’ত্যা করে। এমনকি নিজের মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়ে সুমাইয়াকেও গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায় আব্বাস।’
ঘটনাটি আব্বাস একাই ঘটিয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, ‘আরও তথ্য জানার জন্য রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।