দক্ষিণ কোরিয়া প্রতিনিধি: যথাযথ মর্যাদায় ও নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাস মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয়ের ৪৯তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে।
এ উপলক্ষে বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
পরে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের বিদেহী আত্মার শান্তি, দেশের সমৃদ্ধি ও অগ্রযাত্রা কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনান।
বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রদূতগণ ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন শহরে নিযুক্ত বাংলাদেশের অনারারী কন্সালদের শুভেচ্ছামূলক ভিডিও বার্তাও প্রদর্শন করা হয়।
এরপর বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে একটি মুক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তাঁর বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের এবং বীরাঙ্গনাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। সেই সাথে মুক্তিযুদ্ধে কূটনীতিবিদদের অবদানের কথাও শ্রদ্ধাসহ স্মরণ করেন।
তিনি বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অভিযাত্রা এবং বাংলাদেশের অর্জনসমূহ বিশদভাবে উপস্থাপন করেন এবং এই উন্নয়নে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের শক্তিশালী অবদানের কথাও তুলে ধরেন।
করোনা মহামারীর এই সংকটময় সময়ে উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে সকলকে নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য অধিকতর নিষ্ঠার সাথে পালনের আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত।
আলোচনা সভায় অন্যান্য বক্তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ এবং আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন ।
আলোচনা পর্ব শেষে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে দেশাত্ববোধক গান, নৃত্য ও কবিতা আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়। সাংস্কৃতিক পর্বের পর বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার দিয়ে আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।