বীথি সপ্তর্ষি : প্রতিদিন পাবলিক বাসের জন্য দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করার সময় কান্না পেয়ে যায়। রাগে, অপমানে, ক্ষোভে। বাস থামিয়ে ভিড় সেঁচে নারীদের ঠেলে সরিয়ে পুরুষদের তুলে নেয়। চোখের সামনে পুরুষের জন্য পৃথিবীটা অন্য রকম দেখতে পাই। মহিলা সিট নেই বলে বাসে তোলে না অথচ সেই মহিলা সিটে পুরুষ বসিয়ে রাখে। না আমি মহিলা সিট চাই না। প্রিভিলেজ চাই না। আমি শুধু মানুষের মর্যাদাটুকু চাই। আমি ঝাপসা চোখে জীবনের সব শক্তি জমিয়ে দরজা ঠেলে বাসে উঠি। চিৎকার করি, এটা কি পুরুষদের বাস? আমাকে নেবেন না কেন? ঘরে আপনাদের মা-বউ-সন্তান অপেক্ষা করে। আমাদের কি কেউ নেই, কেউ অপেক্ষা করে না আমাদের জন্য? আমি চিৎকার করি। কেউ কেউ হাসে, কেউ বিরক্ত হয়। আমি চোখের জল মুছি। অপমানে থিরথির কাঁপি। শরীরে এক জোড়া স্তন আর একটা যোনি আছে বলে আর কতো মূল্য দিতে হবে? আমি কি রাষ্ট্রের নাগরিক নই? এটা কি কেবল পুরুষের পৃথিবী? (মেয়েরা সমানাধিকার পায় (প্রায়োরিটি পায়) বলে কেউ দাবি করলে, জুতাপায়ে গুয়ের উপর হেঁটে এসে তার মুখ বরাবর জুতা ছুড়ে মারবো)
নির্বাচিত মন্তব্য : শাজাহান শামীমÑএটার সমাধান আসলে কি হতে পারে? পুরুষরাও যে খুব আরামে বাস যাত্রা করে তাও নয়। বাসে জায়গা না থাকলে পুরুষদেরও নেয়ার সুযোগ নেই। দাঁড়ানো অবস্থায় মেয়েদের নেয়াও খুব কঠিন। অনেক মেয়ে পুরুষদের সঙ্গে গা ঘেঁষে দাঁড়াতে বিব্রতবোধ করতেও পারে, নাও পারে। ২. চৈতি চন্দ্রিকা : আমার বেশ কিছু পুরুষতান্ত্রিক বন্ধু আছে। তাগোরে আপনার কাছে নিয়া আসতে চাই লাস্টের কাজটা করার জন্য। ৩. সোমিয়া আকতার ইরাÑআমি নিজেও ভুক্তভোগী, যখন আমাকে ঠেলে সরিয়ে পুরুষ যাত্রীকে উঠায় আর বলে মহিলা সিট নেই ওঠা যাবে না, আমারও কান্না আসে। ফেসবুক থেকে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।