জুমবাংলা ডেস্ক : দরিদ্র ও মেধাবী, এতিম ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি দিবে সোনালী ব্যাংক পিএলসি। এ লক্ষ্যে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ব্যাংকটি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দরিদ্র মেধাবী, অনগ্রসর ও প্রত্যন্ত অঞ্চল তথা হাওড়/দ্বীপ/চর-এর শিক্ষার্থী, কৃষক, দিনমজুর, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মেধাবী সন্তান, এতিম ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা শর্তসাপেক্ষে অনলাইনে সোনালী ব্যাংক পিএলসির শিক্ষাবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া আবেদন করা যাবে আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আবেদন করতে পারবেন যারা :
► ২০২৩ সালে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমানে এইচএসসি বা সমমান পর্যায়ে অধ্যয়নরত অথবা ২০২৩ সালে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমানে স্নাতক বা সমমান পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
► এইচএসসি বা সমমান পর্যায়ে অধ্যয়নরত দরিদ্র ও মেধাবী কোটায় শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫, মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের ক্ষেত্রে জিপিএ-৪.৫০, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে জিপিএ-৪.৫০ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম জিপিএ-৩.৫০ প্রাপ্ত হতে হবে।
► স্নাতক বা সমমান পর্যায়ে অধ্যয়নরত দরিদ্র ও মেধাবী কোটায় শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫, মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের ক্ষেত্রে জিপিএ-৪.৫০, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে জিপিএ-৪.৫০ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম জিপিএ-৩.৫০ প্রাপ্ত হতে হবে।
► শুধু দরিদ্র শিক্ষার্থী/ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থী/ শারীরিক প্রতিবন্ধী/এতিম/অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তান শিক্ষার্থী যাদের পিতা-মাতা/অভিভাবকের মাসিক আয় সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকার (মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ব্যতীত) বেশি নয়, তারা আবেদন করতে পারবেন। সচ্ছল ব্যক্তির সন্তানদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই।
বৃত্তির পরিমাণ :
► বৃত্তির পরিমাণ এককালীন ১০ হাজার টাকা।
আবেদন করবেন যেভাবে :
► সোনালী ব্যাংকের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। প্রাথমিকভাবে মনোনীত আবেদনকারীদের তালিকা যথাসময়ে সোনালী ব্যাংক পিএলসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
আবেদনের করতে লাগবে যেসব কাগজপত্র :
► প্রাথমিক বাছাইয়ে মনোনীত আবেদনকারী কর্তৃক প্রিন্টকৃত Online Application Form (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান/বিভাগীয় প্রধানের স্বাক্ষর ও সিলমোহরযুক্ত সুপারিশসহ),
► বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান/বিভাগীয় প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত অধ্যয়ন সনদ,
► অ্যাকাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, সনদ এবং নাগরিকত্বের সনদের সত্যায়িত কপি,
► জন্মনিবন্ধন সনদ/এনআইডির সত্যায়িত কপি,
► ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/সিটি করপোরেশন থেকে শিক্ষার্থীর অভিভাবকের মাসিক আয়সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র (অভিভাবকের পেশা এবং মাসিক আয় উল্লেখ থাকতে হবে) ও চাকরিরত অভিভাবকদের পদবি ও বেতন স্কেল উল্লেখসহ সংশ্লিষ্ট অফিসপ্রধান কর্তৃক বেতনের প্রত্যয়নপত্র,
► মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা সনদ,
► প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে সমাজসেবা অধিদপ্তর/জেলা সমাজসেবা কার্যালয়/ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত প্রতিবন্ধী সনদের সত্যায়িত কপি,
► ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কর্তৃক সনদ/প্রত্যয়নপত্র এবং
► তৃতীয় লিঙ্গের ক্ষেত্রে সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক উপযুক্ত সনদ/প্রত্যয়নপত্র।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।