স্পোর্টস ডেস্ক: করোনাভাইরাসের কারণে এবছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে গেলেও আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন যথা সময়েই আয়োজন করতে চায় আয়োজকরা। এমনকি সেই টুর্নামেন্টে দর্শক রাখারও পরিকল্পনা করছে তারা। এমন তথ্যই জানিয়েছেন, টেনিস অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী ক্রেগ টিলে।
করোনা কাল হওয়ায় পুরো টুর্নামেন্টটি জীবানু সুরক্ষিত পরিবেশে করার কথা ভাবছে অস্ট্রেলিয়া। তবে তার আগে এই বছরের বিলম্বিত ফ্রেঞ্চ ওপেন ও ইউএস ওপেনে নজর থাকবে আয়োজকদের। এই দুটি টুর্নামেন্টের ওপরই নির্ভর করছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের যাবতীয় পরিকল্পনা।
টিলে জানিয়েছেন, টুর্নামেন্টটি এই পরিস্থিতিতে কীভাবে হতে পারে- তার একটা সিদ্ধান্ত তারা নিয়ে রেখেছেন। এই সময়ে সীমিত আসনে সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া খেলোয়াড়রা থাকবেন জীবানু সুরক্ষিত পরিবেশে। তবে বিদেশি দর্শকদের প্রবেশের ব্যাপারে থাকবে নিষেধাজ্ঞা।
টিলে এপিকে বলেছেন, অনেকগুলো অপশন রেখেই আমরা এই সপ্তাহেই সিদ্ধান্তটি নিয়ে রেখেছি।
দর্শকের ব্যাপারে তিনি বলেছেন, গত বছর যেমন রেকর্ড হয়েছিল, এবার তেমন সংখ্যা দাঁড়াবে না। আমাদের ভক্তরা আসবেন মেলবোর্ন ও ভিক্টোরিয়া রাজ্য থেকে। সংযুক্ত রাজ্য, কিউই দর্শকরাও থাকতে পারে। তবে যে ১৫ ভাগ বিদেশি দর্শক থাকে, সেটা এবার থাকছে না।
করোনার কারণে স্থগিত হয়ে গেছে এবারের উইম্বলডন। ফ্রেঞ্চ ওপেন পিছিয়ে গেছে ২৭ সেপ্টেম্বর। তবে ইউএস ওপেন শুরু হচ্ছে যথাসময়ে, ৩১ আগস্ট থেকে।
এই টুর্নামেন্টগুলোর স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টিও নজরে রাখছেন তারা। টিলে বলেছেন, দুটি টুর্নামেন্টই বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষা, বিভিন্ন ধারার কোয়ারেন্টিন ও চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আরোপ করেছে। আমারও এসব অপশন নিয়ে ভাবছি। পরিকল্পনা অনুসারে এর চেয়েও বেশি ভাবনা আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।