স্পোর্টস ডেস্ক : ইএসপিএন ক্রিকইনফো তাদের ওয়েবসাইটে ছবিটি পোস্ট করে ক্যাপশন লিখেছে, ‘এটাই সাকিব আল হাসানের বিশ্ব…, অন্তত এটা একান্তই তার বিশ্বকাপ।’ ৬০৬ রান এবং ১১ উইকেট কারো নামের পাশে থাকলে ক্রিকইনফো কেন, যে কেউ বলবে এই কথা।
ভারতের বিপক্ষে এক ক্যাচেই ম্যাচ মিস হয়েছে। না হলে হয়তো আজ সেমির লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামতো বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে ওই ম্যাচেও সাকিব আল হাসান ছিলেন বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। করেছিলেন ৬৬ রান। ম্যাচের পর বিদেশি মিডিয়ায় এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘সবাই আরেকটু সিরিয়াস হলে হয়তো আমাদের লক্ষ্যটা পূরণ হতো।’
সেই লক্ষ্যটা কি? তা বলে দিতে হবে না। বাংলাদেশ বিশ্বকাপে গিয়েছিল সেমিফাইনালে খেলার লক্ষ্য নিয়ে। ছোট ছোট বেশ কিছু ভুলের খেসারত দিয়ে অবশেষে সেই লক্ষ্য পূরণ হলো না টাইগারদের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মুশফিক উইলিয়ামসনের সেই রানআউট মিস না করলে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাব্বির ওয়ার্নারের সেই ক্যাচটি মিস না করলে কিংবা ভারতের বিপক্ষে রোহিত শর্মার ক্যাচটি যদি তামিম মিস না করতেন, তাহলে নিশ্চিত- বাংলাদেশই হয়তো থাকতো আজ সেরা চার দলের একটি।
সেই আক্ষেপটাই ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পর মিডিয়ার সামনে চেপে রাখতে পারলেন না। নিজে এতটা ভালো পারফরম্যান্স করেছেন যে সাকিব আল হাসানকে ১০০’র মধ্যে ২০০ দিতে হবে। এতটা ভালো পারফরম্যান্স বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটার কেন, বিশ্বকাপের ইতিহাসে আর কোনো ক্রিকেটার করতে পারেননি।
সাকিব হয়তো ব্যক্তিস্বার্থে এমন পারফরম্যান্স করেননি। দলের স্বার্থেই করেছেন। ব্যক্তিগত সাফল্যগুলো একে একে যোগ হলেই দলীয় সাফল্য অর্জিত হয়। খেলোয়াড়রা সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে নিজের দায়িত্বটা পালন করলে সাফল্য এমনিতেই আসে, তার জ্বলন্ত উদাহরণ সাকিব আল হাসান।
অন্যরা যে দায়িত্ব পালন করেননি তা নয়। কিন্তু সাকিবের মত আর দু’তিনজনও যদি ধারাবাহিক হতেন, তাহলে হয়তো বা সাকিবের সেই আক্ষেপটা আর থাকতো না। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ করেই দেশে ফিরতে পারতো টাইগাররা।
কিন্তু সেটা আর শেষ পর্যন্ত হয়নি। বরং, শেষ ম্যাচে এসে লর্ডসে বাংলাদেশ হেরেই গেলো পাকিস্তানের সাথে। নিজেদের বিদায় তো নিশ্চিত ছিলই, সঙ্গে বিদায় নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানেরও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।