নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদের আগে ও পরের এক সপ্তাহে রাজধানীর বাজারগুলোয় মুরগি ও ডিমের দাম কিছুটা কমলেও এখন আবার বেড়েছে। ঈদের পরের এক সপ্তাহ প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায় বিক্রি করা হলেও এখন বিক্রি করা হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়। সোনালি মুরগির কেজি ছিল ২৫০ টাকা, সেটি বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়। প্রতি হালি লাল ডিম ৪০ টাকা দরে বিক্রি করা হলেও এখন বিক্রি করা হচ্ছে ৪৫ টাকায়।
একই সঙ্গে বেড়েছে মাছ, সবজি ও কাঁচা মরিচের দামও। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা কমলেও নতুন দামের সয়াবিন এখনো বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, দক্ষিণ কুড়িল এলাকার নদ্দা মোড়ল বাজার ও জোয়ারসাহারা বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের মেসার্স মা আয়েশা ব্রয়লার হাউসের ব্যবসায়ী মো. আমজাদ হোসেন বলেন, ‘কোরবানির ঈদের আগের সপ্তাহে এবং পরের সপ্তাহে চাহিদা কম থাকায় মুরগির দাম কিছুটা কম ছিল। এখন আবার বাজারে মুরগির চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। সামনে মুরগির দাম আরো বাড়তে পারে। কারণ বাজারে মুরগির সরবরাহ কম। ’
জোয়ারসাহারা মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, আগের সপ্তাহের তুলনায় বড় মাছ কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। পাঙ্গাশ মাছ ছাড়া বাজারে ২০০ টাকার নিচে কোনো বড় মাছ পাওয়া যায় না। পাঙ্গাশ প্রতি কেজি ১৬০ টাকা। কম দামে বিক্রি হওয়া তেলাপিয়া মাছও বিক্রি করা হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। নলা (ছোট রুই) প্রতি কেজি ২৩০ টাকা, এক কেজি ওজনের রুই ২৬০ টাকা, দেড়-দুই কেজির রুই ৩২০ টাকা, দু-তিন কেজির রুই ৩৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। বড় কাতল প্রতি কেজি ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
ওই বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রুবেল বলেন, ‘বাজারে মাছের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ খুবই কম। এ জন্য কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। এই বাড়তি দাম বেশি দিন থাকবে না। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে বাজারে মাছের সরবরাহ বাড়বে। তখন দাম কমে আসবে। ’
সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন, আদা—এসব নিত্যপণ্যের দাম বাড়েনি। এসব পণ্য আগের দামেই বিক্রি করা হচ্ছে। পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪৫ টাকা, রসুন আমদানি করা ১২০ টাকা কেজি, দেশি রসুন ৯০ টাকা কেজি, মসুর ডাল দেশি চিকন ১৪০ টাকা কেজি, মোটা ১১৫ টাকা কেজি, আলু ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
নদ্দা মোড়ল বাজারে বৃষ্টি ভ্যারাইটিজ স্টোরের ব্যবসায়ী মো. রিফাত বলেন, ‘ঈদের পর কোনো নিত্যপণ্যের দাম বাড়েনি। বরং সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা কমেছে। যদিও কমার চার দিন পরও এখনো নতুন দামের তেল বাজারে আসেনি।’
ঈদের পর রাজধানীর বাজারগুলোয় অনেক বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। ঈদের আগে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচ এখন বিক্রি করা হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। সেই সঙ্গে বেড়েছে কিছু সবজির দামও।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ঈদের আগের মতো এখনো বেশি দামে বিক্রি করছেন গাজর। এক কেজি গাজর কিনতে লাগছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। টমেটো ১২০ টাকা কেজি, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, দেশি ছোট আলু ৪০ টাকা, বড় আলু ৩০ টাকা, কচুর মুখি ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা আর ঢেঁড়স, পটোল, চিচিঙ্গা ও কাঁকরোল প্রতি কেজি বিক্রি করা হচ্ছে ৪০ টাকা দরে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।