জুমবাংলা ডেস্ক : দারিদ্র্য মোকাবিলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই (AI) ব্যবহার নিয়ে সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক লার্নিং ইভেন্টের আয়োজন করে এটুআই এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গিভ ডিরেক্টলি।
মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে সুবিধাভোগী নির্বাচন করে তৃণমূল পর্যায়ে নগদ অর্থ-সহায়তা প্রদান করা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেশান্তরের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয় পরিবারগুলোকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করে ইউএসএআইডি ও গুগল ডট ওআরজি-এর যৌথ অর্থায়নে এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তিগত সহায়তায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এই নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।
এছাড়াও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং গুগল ফ্লাড ফোরকাস্টিং ইনিশিয়েটিভের সাথে অংশীদারিত্বে এটুআই ও গিভ ডিরেক্টলি একটি উদ্ভাবনী প্রকল্পের আওতায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবাদেরকে দুর্যোগ পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে দুর্যোগ পূর্ববর্তীকালীন সময়ে আর্থিক সাহায্য কিভাবে দুর্যোগকালীন ক্ষতি লাঘব করতে পারে তা পর্যালোচনা করা হবে।
অনুষ্ঠানে এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) এর যুগ্ন প্রকল্প পরিচালক মোল্লা মিজানুর রহমান বলেন, ‘বর্তমান সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশনের সাথে একজোট হয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করার মাধ্যমে আমরা যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চাই, তা কেবলমাত্র মানবিক সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রেই নয়, বরং জাতীয় উন্নয়নের লক্ষ্যে বৃহত্তর অবদান রাখতে সক্ষম। প্রযুক্তির এই ব্যবহার আমাদের অনেক কাজ সহজতর করে দিয়েছে।’
গিভ ডিরেক্টলির এর আঞ্চলিক পরিচালক লামিয়া রশিদ, কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি পদ্ধতির সফল বাস্তবায়নের কথা তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেন, ‘টোগোতে গিভ ডিরেক্টলি মেশিন লার্নিং পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রায় ১,৩৮,০০০ জন সুবিধাভোগীদের তালিকাভুক্ত করেছিল, এবং কোভিড মহামারী চলাকালীন জরুরী ত্রাণ হিসেবে তাঁদেরকে মোট ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে যৌথভাবে কাজ করেছে এটুআই এবং গিভ ডিরেক্টলি।’
রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এই সভায় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে.এম আলী রেজা, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন এর মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান, ইউএসএআইডি হিউমেনেটেরিয়ান এসিস্ট্যান্স অফিসের পরিচালক মুস্তাফা এল হামযাউই প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।