জুমবাংলা ডেস্ক : ফরিদপুরের ভাঙ্গায় স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের অত্যাচারে মিথিলা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার নাছিরাবাদ ইউনিয়নের চরপাল্লা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ ওই গ্রামের মোতলেব মাতুব্বরের মেয়ে।
জানা গেছে, ছয় বছর আগে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার আদিপাড়া কানাইনগর গ্রামে রব শেখের ছেলে শাকিল শেখের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় মিথিলার। বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী যৌতুকের জন্য তাকে নির্যাতন করে আসছিল। নিহতের বাবা মোতালেন মাতুব্বর জানান, মেয়ের ননদ ও শাশুড়ি মিলে প্রায়ই ঝগড়া করতো। আমার মেয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্বামী, ননদ ও শাশুড়ির নির্যাতন ও যন্ত্রণা সহ্য করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, গত শনিবার স্বামী ও শশুরবাড়ির লোকজন মিলে মিথিলাকে মারধর করে কোলের সন্তানসহ তার দুই সন্তানকে রেখে বাবার তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। রাতে স্বামীকে ফোন দিয়ে সন্তানদের জন্য কান্নাকাটি করেন মিথিলা। তবে তাতে স্বামীর মন গলেনি। তিনি জানান, প্রয়োজনে মাটিতে পুতে ফেলবেন, তবুও সন্তানদের আর তার কাছে দিবেন না। এরপর বাড়ির একটি সফেদা গাছের সঙ্গ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন মিথিলা।
সকালে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাদন্ত করতে পাঠায়। এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানার তদন্তকারী অফিসার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সুমন খান বলেন, ‘লাশের সুরতহাল করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মিথিলার পরিবার আত্মহত্যার প্ররোচণার মামলার অভিযোগ দেওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছেন। আমরা অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।