স্পোর্টস ডেস্ক : হারারে টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৩৫৪ রানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। এক উইকেট হারিয়ে ১১৪ রান করেছে জিম্বাবুয়ে। এর আগে, রিয়াদ-তাসকিন বীরত্বে ৪৬৮ রানের বড় সংগ্রহ পায় ডমিঙ্গো বাহিনী। ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি পেয়েছেন রিয়াদ, তাসকিন তুলে নিয়েছেন প্রথম ফিফটি।
হারারে টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৩৫৪ রানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। এক উইকেট হারিয়ে ১১৪ রান করেছে জিম্বাবুয়ে। এর আগে, রিয়াদ-তাসকিন বীরত্বে ৪৬৮ রানের বড় সংগ্রহ পায় ডমিঙ্গো বাহিনী। ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি পেয়েছেন রিয়াদ, তাসকিন তুলে নিয়েছেন প্রথম ফিফটি।
দ্বিতীয় দিনের শুরুটা দুরুদুরু বুকে আরম্ভ করেন বাংলাদেশের দুই অপরাজিত সৈনিক। হারারেতে নতুন বল হাতে তখন চোখ রাঙাচ্ছিল মুজারাবানি-তিরিপানোরা। কিছুটা সময় তাদের দেখেশুনে সামলে যান তাসকিন আর রিয়াদ।
তবে, সময় গড়াতেই খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসেন টাইগার ক্রিকেটের সাইলেন্ট কিলার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ভরসা দেন তাসকিনকে। দুজনে মিলে লিখতে বসেন নতুন ইতিহাস। ধীরে ধীরে গেড়ে বসেন হারারের ক্রিজে। আউট করতে না পেরে বারবারই মেজাজ হারান জিম্বাবুয়ের বোলাররা। স্লেজিং আর অ ক্রিকেটীয় ভাষায় আক্রমণ করেন ব্যাটারদের।
কিন্তু ঠাণ্ডা মাথায় সব সামাল দেন লাল-সবুজের দুই যোদ্ধা। মাঠের চারদিকে রানের ফোয়ারা ছোটান তারা। চার-ছক্কায় হতাশায় পোড়ান স্বাগতিকদের। বোলিং-ফিল্ডিং পরিবর্তন করে জুটি ভাঙার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান ব্রেন্ডন টেলর। কিন্তু, রিয়াদ-তাসকিনের মনোযোগ সরাতে পারেন নি এতোটুকুও।
ফলাফল, সচল থাকে বাংলাদেশের রানের চাকা। প্রথম দিনের ব্যাকফুটে থাকা দলটা তখন ড্রাইভিং সিটে। এবড়ো থেবড়ো পথ গুলো অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের মিশেলে সামলে নেন দুজন। অবাক বিস্ময়ে সে দৃশ্যগুলো দেখতে থাকেন বাউন্ডারি লাইন আর ড্রেসিং রুমে বসে থাকা বাংলাদেশের সদস্যরা।
এর মাঝেই ৩২ রানে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দেন তাসকিন। কিন্তু, ফিল্ডারের হাতে জমে যাওয়া বলতা ছুটে যায় শেষ মুহূর্তে। ক্ষোভ আর হতাশা ভর করে বোলারের চেহারায়। কিন্তু, তাতে অবশ্য কিছুই আসে যায়নি ৯ নম্বর ব্যাটসম্যানের। তার স্বপ্নে তখন নতুন মাইলফলকের হাতছানি।
এর পরপরই উদযাপনে মাতেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। গগন বিদারী চিৎকারে উদযাপন করে জানিয়ে দেন, কতটা ক্ষোভ জমা আছে ওই ব্যাটে। সাদা পোষাকে ব্রাত্য করে দেয়ার জবাব দেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। একটু পরই আবারো উদযাপন হয় হারারেতে। এবারেরটার উচ্ছ্বাস আরও বেশি। ড্রেসিং রুমের দিকে হাত ঝাঁকিয়ে তাসকিন জানিয়ে দেন, কতটা স্পেশাল এই প্রথম ফিফটি।
তবে, দিনের শুরুর আনন্দে কিছুটা ভাটা পড়ে তাসকিনের আউটে। সেটা যতটা না আউটের জন্য, তার চেয়ে অনেক বেশি বিশ্ব রেকর্ড মিসের জন্য। বাকি যে ছিল আর মাত্র ৪টা রান। কিন্তু শেষবার বলে উড়িয়ে মারার লোভটা সামলাতে পারেন নি তাসকিন আহমেদ। ফিরে যান ৭৫ রানে।
সঙ্গী হারালেও নিজের ক্যারিয়ার সেরা রান করতে ভুল করেন নি রিয়াদ। দেড়শ রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন দল অলআউট হওয়ার আগেই। এরপর এবাদত ফিরে গেলে থেমে যায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। স্কোর বোর্ড জানান দেয়, দলীয় রান ৪৬৮।
জবাব, দিতে নেমে স্বাগতিকদের শুরুটাও হয় উড়ন্ত। মড়া উইকেটে বোলারদের শাসন করে গেছেন শুম্বা এবং কাইতানো। এবাদত-তাসকিনের পর বল হাতে নেন সাকিব-মিরাজরা। কিন্তু প্রথম ধাপে ব্যর্থ হন তারাও।
পরে, সাকিব ম্যাজিকেই প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে শুম্বাকে ফেরান মিস্টার সেভেন্টি ফাইভ। তবে, উইকেট হারিয়েও দমে যায়নি টেলর বাহিনী। পালটা আক্রমণ করে দিশেহারা করে ফেলে টাইগার বোলারদের।
শেষ পর্যন্ত এক উইকেটে ১১৪ রানে দিন শেষ করে জিম্বাবুয়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।