আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এক বছর আগে উত্তর দিল্লির বুরারি এলাকার একটি পরিবারের ১১ জনের আত্মহত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। নিহতদের লেখা ‘সুইসাইড নোট’ বিশ্লেষণ করে বোঝা গেছে, ওই পরিবারের সবাই ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য একসঙ্গে গলায় ফাঁস দেন!
গালফ নিউজ জানিয়েছে, একটি চিরকুটে লেখা ছিল ভগবান কা রাস্তা (ঈশ্বরকে পাওয়ার রাস্তা)। বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত হয়েছেন, গলায় ফাঁস দেওয়ার আগে পরিবারের সদস্যদের একজন চিরকুটটি লিখেছিলেন।
২০১৮ সালের ১ জুলাই চন্ডাওয়াত পরিবারের ১১ জন সদস্যকে তাদের বাড়ির ভেতরেই মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এর পেছনে পরিবারের কোনো সদস্যের অতিপ্রাকৃত বিশ্বাস কাজ করে থাকতে পারে বলে পুলিশ তখন ধারণা করেছিল। এখন বোঝা গেছে, তারা সবাই এতে বিশ্বাসী ছিলেন।
পুলিশের পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট বলছে, ১১ জনেরই মৃত্যু হয়েছে গলায় ফাঁস লাগিয়ে। এর মধ্যে ৭৫ বছর বয়স্ক নারায়ণ দেবীকে পাওয়া যায় পাশের ঘরে। অন্য ঘরে মৃত পাওয়া যায় তার দুই ছেলে, এক মেয়ে, দুই পুত্রবধূ, এবং পাঁচ নাতিনাতনীকে – যাদের বয়েস ১৫ থেকে ৩৩ এর মধ্যে।
যতগুলো চিরকুট পাওয়া গেছে তার অধিকাংশ লিখেছিলেন নারায়ণ দেবীর নাতনি প্রিয়াঙ্কা এবং ললিতের বউ টিনা। এটি লিখতে নির্দেশ দেন ললিতই।
অন্য চিরকুটে লেখা ছিল আত্মহত্যা করতে গেলে কোনো অতিপ্রাকৃত শক্তি এসে তাদের রক্ষা করবে।
তাতে আরো লেখা আছে, কীভাবে গলায় ফাঁস দিতে হবে, কীভাবে সে সময় চোখ ও মুখ ঢেকে রাখতে হবে। এ কাজের জন্য সবচেয়ে ভালো দিন হচ্ছে বৃহস্পতিবার এবং রোববার।
আরো বলা হয়, শেষ দিনের আগের সাত দিন ধরে বিশেষ কিছু আচার পালন করতে হবে। যাতে ‘আত্মা’ এসে তাদের বলবে, পরের দিন ‘কাজ শেষ’ করতে।
চিরকুটে লেখা ছিল, তাদের মা যদি এসব সহ্য করতে না পারে তাহলে তাকে পাশের ঘরে ঘুম পাড়িয়ে রাখতে হবে।
ললিতের ভাষায়, ‘শেষ কাজের’ সময় হচ্ছে মাঝরাত থেকে রাত একটা পর্যন্ত। সে সময় পৃথিবী এবং আকাশ কাঁপতে থাকবে, আর তখনই আমি এসে তোমাদের রক্ষা করবো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।