আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দিল্লির সহিংসতার একটি ভিডিও হয়েছিলো। তাতে দেখা যায়, কয়েকজন পুলিশ পাঁচজন ব্যক্তিকে পেটাচ্ছেন। ভুক্তভোগীদের একজন ২৩ বছর বয়সী ফাইজান। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ফাইজানের মা। হিন্দুস্তান টাইমস, বিবিসি
কাঁদতে-কাঁদতে ফাইজানের ভাই নাইম বলেন, দিল্লিতে যখন তিব্র সংঘর্ষ চলছিলো তখন মাকে খুঁজতে বের হয়েছিলো ফাইজান। এসময় অন্য ছেলেদের সঙ্গে ফাইজানকেও ধরে ফেলেছিলো পুলিশ। নৃশংসভাবে তার মাথা ও শরীরে আঘাত করে তারা। পুলিশের কাছে ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করলেও তারা ওকে ছাড়েনি। এরপর তাকে পুলিশস্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন ফাইজানের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও পুলিশ ওর সাথে আমদের দেখা করতে দেয়নি।
প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর গুরুতর আহত অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশস্টেশন থেকে ছাড়া পায় ফাইজান। সে সময় চারপাশে এতোটাই আতঙ্কিত অবস্থা বিরাজ করছিলো যে, ভয়ে ওকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারিনি। সকালের আলোফুটলেই হাসপাতালে নিয়ে যাই ওকে। এরপর রাত ১০ টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ফাইয়াজকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভাইকে হারানোর কথা বলতে গিয়ে নাইম বলেন, আমার ভাইয়ে কি অপরাধ ছিলো? কেনো ওকে এভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে?
এ বিষয়ে দিল্লির পুলিশের বক্তব্য জানতে চাইলে, কোনো মন্তব্য করতে চায়নি তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।