সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরণ করলেন মহারাস্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণ রানে। ৮ জুন দিশা সালিয়ানদের পার্টিতে কারা কারা হাজির ছিলেন, সে বিষয়ে আগেই প্রশ্ন তোলেন বিজেপির এই শীর্ষ স্থানীয় নেতা। যদিও মুম্বাই পুলিসের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, ৮ জুন দিশাদের প্রাইভেট পার্টিতে কোনও রাজনৈতিক নেতা হাজির ছিলেন না
মুম্বাই পুলিস যে দাবিই করুক না কেন, নারায়ণ রানে দাবি করেন, সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। দিশার ধর্ষণের কথা জেনে গিয়েছিলেন সুশান্ত। সেই কারণেই তাঁকেও ১৪ জুন খুন করা হয় বলে অভিযোগ করেন রানে
তবে ৮ জুনের পাশাপাশি ১৩ জুনও একটি পার্টির আয়োজন করা হয় বলে দাবি করেন নারায়ণ রানে। পাশাপাশি তিনি আরও দাবি করেন, দিশাকে যে ধর্ষণ করে খুন করা হয়, ময়না তদন্তের রিপোর্টে তার উল্লেখ থাকার কথা। ময়না তদন্তের রিপোর্ট যদি প্রকাশ্যে আসে, তাহলে গোটা বিষয়টি যেমন প্রকাশ্যে আসবে, তেমনি অপরাধীকে খুঁজে বের করাও খুব একটা কটিন হবে না বলে দাবি করেন মহারাসট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
নারায়ন রানে ওই দাবির পর থেকেই ফের সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে শুরু হয় আরও একদফা জোর শোরগোল। শুধু তাই নয়, সুশান্তকে খুন করা হয়েছে এবং এর পিছনে মহারাস্ট্রের কোনও নেতা বা মন্ত্রীর হাত থাকতে পারে বলেও বিরোধীদের তরফে দাবি করা হচ্ছে। যে অভিযোগ সামনে আসার পর পালটা মুখ খোলেন উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্য ঠাকরে
তিনি বলেন, সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে রাজনীতির নোংরা খেলা শুরু হয়েছে। মহামারীর সময় মহারাস্ট্র সরকার যেভাবে গোটা রাজ্যে তা নিয়ন্ত্রণ করেছে, তার বিরুদ্ধে মানুষকে ভড়কে দিতেই বিরোধীরা নোংরা রাজনীতি শুরু করেছেন বলে অভিযোগ করে আদিত্য। শুধু তাই নয়, বলিউডের একাধিক সেলেবের সঙ্গে যদি তাঁর সুসম্পর্ক থাকে, তাহলে তা দোষের কোনও বিষয় নয় বলেও মন্তব্য করেন উদ্ধব-পুত্র
পাশাপাশ সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে অযথা তাঁর দিকে এবং ঠাকরে পরিবারের দিকে কাঁদা ছেটোনো হচ্ছে বলেও দাবি করেন আদিত্য। যদিও উদ্ধব পুত্রের ওই মন্তব্যের পর তাঁকে পালটা আক্রমণ করেন কঙ্গনা রানাউত। উদ্ধব ঠাকরে কীভাবে মহারাস্ট্রের সিংহাসন দখল করেন, তা প্রত্যেকের জানা বলেও খোঁচা দেন বলিউডের এই অভিনেত্রী
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।