বিনোদন ডেস্ক : চলচ্চিত্র থেকে বিদায় নিচ্ছেন দীঘি? এমন আশঙ্কার কথা না হলেও আপাতত কাজের ক্ষেত্রে কিছুটা বিরতি নেবেন তিনি। এ প্রসঙ্গে দীঘি বলেন,‘আপাতত আমি ভার্সিটি স্টুডেন্ট।’
সম্প্রতি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে অনার্সে ভর্তি হয়েছেন দীঘি। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের নতুন এই অধ্যয়নের সঙ্গে মানাতেই খানিক বিরতি। এই বিষয়ে পড়ার কৌতুহল নিয়ে দীঘি বলেন, ‘এ বিষয়টি নিলাম। কারণ এই সাবজেক্টে পড়লে অনেক কিছু করতে পারবো। কাজ কর্মের অনেক অপশন খোলা থাকবে। অ্যাটলিস্ট আমাকে বেকার থাকতে হবে না।’
নিজের বেকারত্বের কথা বললেও মূলত দীঘির ইচ্ছে ক্যামেরার পেছনে কাজ করার। আর সেই ইচ্ছেতেই এই বিষয়ে পড়াশোনা। দীঘি বলেন, ‘কোনো না কোনো সময় চলচ্চিত্র নির্মাণে আসার ইচ্ছে আমার। অন্তত একটা হলেও নির্মাণ করতে চাই। যেহেতু চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে আলাদা কোনো ইনস্টিটিউট নেই, তাই এই বিষয়টাকেই বেছে নেওয়া। আর শুরুর দিকে পড়াশোনার অনেক চাপের বাইরে নতুন পরিবেশটাকে মানিয়ে নিতে কিছুদিন সময় লাগবে। তাই আপাতত কোনো ছবির কাজে হাত দিচ্ছি না।’
সম্প্রতি চলচ্চিত্রের এই সুবাতাস নিয়ে দীঘি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থেই `পরাণ’ ও `হাওয়া’ ছবি দুটি আমাদের এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নতুন একটা মোড় এনে দিয়েছে। আমি যখন আমার সার্কেলের বন্ধু-বান্ধবদেরও হলে গিয়ে বাংলা মুভি দেখার আগ্রহ দেখতে পাই, তখন বুঝি যে, চলচ্চিত্রের প্রেক্ষাপট সত্যিকার অর্থেই দারুণভাবে বদলে যেতে শুরু করেছে। এই পজিটিভিটি আমাদের ধরে রাখতে হবে।’
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু বায়োপিক ‘মুজিব’ চলচ্চিত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে কাজ করেছেন দীঘি। এই চলচ্চিত্র ছাড়াও আরও দুটি চলচ্চিত্রের কাজ শেষ করেছেন। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে বাছ-বিচার না করে চলচ্চিত্র হাতে নিলেও এখন থেকে আরো সাবধানী হয়ে পথ চলার প্রত্যয়ে নিজেকে আরও খানিকটা ম্যাচিউরডভাবে উপস্থাপন করতে চান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।