জুমবাংলা ডেস্ক: ঢাকার ধামরাই পৌরসভাস্থ গোপনগর লাকুরিয়া পাড়ার আনন্দ দাসের ছেলে শিশিন দাস (২২)। গত ১৭ আগস্ট ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মো. শিশির ইসলাম নাম ধারণ করেন তিনি। এরপর একই পৌরসভার গোয়ারীপাড়ার মিলন মিয়ার মেয়েকে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় এখন বিপাকে পড়েছেন এই যুবক।
কারণ, বিয়ের পর গত ২৯ আগস্ট পর্যন্ত স্ত্রীর সঙ্গে অবস্থানের পর গত ৩০ আগস্ট তাকে জোর করে নিয়ে যায় পরিবার। এরপর ১৭ দিন আটক রাখার পর রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ধামরাই আমলি আদালতে স্ত্রী ও স্ত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধে জোর করে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করার অভিযোগে মামলা করার জন্য তাকে নেওয়া হয়। ঢাকার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুজাহিদুল ইসলামের আদালতে এ মামলার আবেদন করা হয়।
বিচারক জবানবন্দি গ্রহণের সময় বাদী (শিশির) বলেন, ‘আমার পরিবার আমাকে জোর করে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করতে নিয়ে এসেছে। আমি আসলে স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছি। আমি মামলা করব না। আদালতের বাইরে আমার পরিবারের লোকজন আছে, বের হলেই তারা আমাকে আবার বাসায় নিয়ে আটকে রাখবে।’
তখন বিচারক মামলাটি গ্রহণ না করে ফিরিয়ে দেন এবং বাদী শিশিরকে এজলাসে প্রায় ১ ঘণ্টা বসিয়ে রাখেন। পরে বিষয়টি জানতে পেরে সাংবাদিকরা গেলে তিনি আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন এবং সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন।
বাদীর আইনজীবী হুমায়ুন কবির জানান, বিয়ের পর শিশির নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে তার পরিবারের হুমকির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। এরপর গত ৩০ আগস্ট তার পরিবার তাকে জোর করে নিয়ে আটক রাখার পর গত ১৫ আগস্ট শিশিরের শাশুড়ি ধামরাই আমলি আদালতে একটি মামলা করেছেন, যা তদন্তাধীন। কিন্তু ছেলের পরিবার অর্থিকভাবে ক্ষমতাবান হওয়ায় মেয়ের পরিবার থানা পুলিশের কোনো সহায়তা পাচ্ছে না।
এ বিষয়ে শিশিরের শাশুড়ি হেনা আক্তার বলেন, ‘ছেলের পরিবারের ভয়ে আমরা পালিয়ে বেড়াচ্ছি। যেকোনো সময় আমাদের বাড়িতে তারা হামলা করতে পারে।’
জানতে চাইলে শিশির জানান, ‘দুই বছর সম্পর্কের পর স্বেচ্ছায় আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি। স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছি। আমি প্রাপ্তবয়স্ক, যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষমতা আমার আছে। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আমার মতো করে বেঁচে থাকতে সহযোগিতা চাই।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।