শুধু এবারই নয়, ২১ বছর ধরে এমন ধারাবাহিকতা রেখেছে দিঘিনালার বোয়ালখালীর ইসলামিয়া মাদরাসা হেফজখানা ও এতিমখানা।
দুর্গাপূজার পাশাপাশি হিন্দুদের রাস উৎসব ও মাদরাসার বার্ষিক মাহফিল অনুষ্ঠানেও সবার জন্য খাবারের ব্যবস্থা করছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
দিঘিনালার বোয়ালখালী এলাকায় রাস্তার এক পাশে নারায়ণ মন্দিরে চলছে শারদীয় দুর্গোৎসব। রাস্তার অন্য পাশেই বোয়ালখালী ইসলামিয়া মাদরাসা হেফজখানা ও এতিমখানা। দুই সম্প্রদায়ের দুই প্রতিষ্ঠান পাশাপাশি হলেও সবকিছুই সেখানে স্বাভাবিক। প্রতিবেশীর মতো একে অন্যের সহায়তায় দাঁড়িয়েছে দুই সম্প্রদায়ের মানুষ।
বোয়ালখালী নারায়ণ মন্দিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন পুলিশের পাঁচ সদস্য। দায়িত্বে থাকা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, সম্প্রীতির অনন্য নজির দেখে তিনি বিস্মিত। পুলিশ সদস্যদের প্রতি বেলার খাবার আসছে মাদরাসা থেকে।
বোয়ালখালী নারায়ণ মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি মৃদুল কান্তি সেন জানিয়েছেন, মন্দির ও মাদারাসার পাশাপাশি এ সহাবস্থান ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। আমাদের বিভিন্ন উৎসব ও পূজায় সহযোগিতা করছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। মাদরাসার বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও আমরা যাই।
বোয়ালখালী মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আবদুল্লাহ মেহেরী বলেন, আমাদের ধর্ম ও নবীজী বলেছেন, প্রত্যেক ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে। মাদরাসায় দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এমন সেবা করার সুযোগ পেয়ে আমিও খুশি। দুর্গাপূজা কিংবা রাস উৎসবসহ মন্দিরের প্রতিটি উৎসবে যদি আমাদের কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন পড়ে, আমরা দিয়ে থাকি। এ ছাড়া মাদরাসায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও তারা (হিন্দু সম্প্রদায়) এগিয়ে আসেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।