জুমবাংলা ডেস্ক : দুইবার আবেদন করেও বাংলা একাডেমির সদস্য হতে পারেননি অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান। সম্প্রতি জাতীয় কবিতা পরিষদের একটি অনুষ্ঠানে এ অভিজ্ঞতার কথা জানান তিনি।
সলিমুল্লাহ খান বলেন, ২০০৯ সালে আমি জাতীয় কবিতা পরিষদের সম্মেলনে অংশগ্রহণ করি। এরপর থেকে জাতীয় কবিতা পরিষদের ছায়াও আমি মাড়াতে পারিনি। শুধু জাতীয় কবিতা পরিষদ নয়, বাংলা একাডেমিতে ২০০৩ সালের পর আমি আর ঢুকতে পারিনি। ২১ বছর বাংলা একাডেমির আঙ্গিনায় আমার পা রাখার সুযোগ ছিলো না।
তিনি বলেন, বাংলা একাডেমির সদস্য হওয়ার জন্য আমি বহুবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু নিতে পারিনি। এ অভিযোগটা করছি বাংলা একাডেমিকে ছোট করার জন্য নয়, আমাদের দেশে যেটিকে আপনার স্বৈরতন্ত্র বা ফ্যাসিবাদ বলছেন সেটি যে কি পরিমাণ দুর্বিষহ ছিলো এটি তার সামান্য উদাহরণ। বাংলা একাডেমির সদস্য হওয়ার জন্য দুইবার আমি আবেদন করেছি একবারও পাইনি। এমনকি একাডেমির লেখক অভিধানেও নাম লিপিবদ্ধ হয়নি। আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো যে ধ্বংস হয়েছে এগুলো তার উদাহরণ।
জুলাই-আগস্টের বিপ্লবে জাতীয় কবিতা পরিষদের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করে সলিমুল্লাহ খান বলেন, ৫ আগস্টের আগে আন্দোলনে জাতীয় কবিতা পরিষদের ভূমিকা কী ছিল? তারা মানুষের মনের আকাঙ্ক্ষা বুঝতে পারেননি। তারা তো আসলে কবি নন, হয়ে গেছেন আমলা।
২০০৯ সালে জাতীয় কবিতা পরিষদের জাতীয় কবিতা উৎসবে শামসুর রাহমানের ‘স্যামসন’ কবিতা নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন সলিমুল্লাহ খান। সেদিন প্রয়াত কবি রফিক আজাদের নেতৃত্বে একদল তরুণ কবি তাকে মারতে উদ্যত হয়েছিলেন। সেই ঘটনার পর থেকে সলিমুল্লাহ খান জাতীয় কবিতা পরিষদের কোনো আয়োজনে আসেননি।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশে গণতন্ত্র শব্দটিকে অর্থহীন করে দিয়েছে্। গণতন্ত্র শব্দটির মর্মকথাই ফ্যাসিবাদ গুম করে দিয়েছে। যে শাসনব্যবস্থা দিনের পর দিন মানুষের অধিকার খর্ব করে, মানুষকে গুম করে রাখে, সেটি কি প্রকৃত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ছিল?
৯০ এর দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পীর অস্বাভাবিক মৃত্যু, মরদেহ উদ্ধার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।