জুমবাংলা ডেস্ক : আবরার ফাহাদ হ’ত্যার সঙ্গে জড়িত ১৯ আসামিকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট)। কিন্তু আবরার ফাহাদের বাবা বরকতুল্লাহ অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিষ্কার চান। একই দাবি করে আসছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তার সেই দাবিতে এখনও বুয়েটে আন্দোলন করছেন।
শুক্রবার বিকালে বুয়েট অডিটোরিয়ামে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ভিসি অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম। আবরার হ’ত্যার ৩০ ঘণ্টা পর ক্যাম্পাসে আসার কারণে বৈঠকের শুরুতেই ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের স্থায়ীভাবে বুয়েট থেকে বহিষ্কারের। কিন্তু ভিসি সাময়িক বহিষ্কারের ঘোষণা দেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সেটা মেনে নেননি। তারা স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে অনঢ় আছেন।
২৮ অক্টোবর বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা। কিন্তু আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষা আপাতত স্থগিত করার দাবি করেছেন।
আবরারের বাবা বলেছেন, আবরার হ’ত্যার মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে দিয়ে দ্রুত শেষ করতে হবে এবং খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। চরম নিরাপত্তাহীনতায় থাকা পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
আবরার ফাহাদের বাবা বরকতুল্লাহ বলেন, বুয়েট ক্যাম্পাস থেকে আর কোনো পিতা-মাতার সন্তান হারানোর কষ্ট যেন বইতে না হয় তার স্থায়ী সমাধান চাই।
বরকতুল্লাহ বলেন, ছোট ছেলে ঢাকা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞান বিভাগের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। সে ঢাকায় যেতে ভয় পাচ্ছে। সে ঢাকায় পড়তে যেতে চাচ্ছে না। আবরারের মা রোকেয়া বেগম বলেন, আমরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছি। এক ছেলেকে হারিয়েছি আর কোনো ছেলেকে হারাতে চাই না। আমি ছোট ছেলের নিরাপত্তা চাই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।