আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দুই বছরে সর্বনিম্ন নেমেছে। গত ১৯ আগস্ট শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৫৬৪ বিলিয়ন ডলার, যা এর আগে সপ্তাহের শেষে ছিল ৫৭০ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। গত শুক্রবার (২৬ আগস্ট) দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) প্রকাশিত পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা যায়। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে প্রায় পৌনে সাত বিলিয়ন ডলার।
এনডিটিভিসহ ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সর্বশেষ তিন সপ্তাহ ধরে দেশটির রিজার্ভ কমছে। ডলারের বিপরীতে ভারতীয় মুদ্রা রুপির অবমূল্যায়ন ঠেকাতে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। এ সত্ত্বেও রিজার্ভ কমার এ ধারা অব্যাহত আছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২ সালে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৭১ বিলিয়ন ডলারের বেশি কমেছে। ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষে ছিল ৬৩৫ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেশটির ইতিহাসে রিজার্ভের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৬৪২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছিল। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি তেল, গ্যাস, ভোজ্যতেলসহ নানা পণ্যের দাম এবং পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়া ভারতের রিজার্ভ কমার অন্যতম কারণ।
ভারতভিত্তিক নিউজ-১৮ বলছে, চলতি সংকটের মধ্যে ভারতের শেয়ারবাজার থেকে বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ তুলে নেয়া সবচেয়ে বড় কারণ। গত ২৬ জুন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তারা জানায়, চলতি বছর বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে অন্তত দুই লাখ ১৩ হাজার কোটি রুপি মূল্যের বিনিয়োগ নিজ দেশে ডলারে ফিরিয়ে নিয়েছেন। শুধু গত জুনের প্রথম তিন সপ্তাহে ৪৫ হাজার ৮৪১ কোটি রুপি বিনিয়োগ প্রত্যাহার করেন। ডলারের বিপরীতে ক্রমাগত রুপির মান কমার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে বন্ডে কুপন হার বেড়ে যাওয়ার কারণেও অনেক বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ প্রত্যাহার করছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।