সেন্টমার্টিনে দুই বছর ধরে ফলশূন্য নারিকেল গাছ!
জুমবাংলা ডেস্ক : নারিকেল জিঞ্জিরা হিসেবে পরিচিত দেশের প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে গত দুই বছর ধরে নারিকেল গাছে ফলন নেই। এতে বন্ধ হয়ে গেছে বাসিন্দাদের আয়ের অন্যতম উৎস। সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট বলছে, দ্বীপে অপরিকল্পিত স্থাপনার কারণে নারিকেল গাছের শিকড় বিস্তৃত হতে পারছে না।
প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের গলাচিপাপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল কাইয়ুম। তার রয়েছে দেড়শ নারিকেল গাছ। কিন্তু গেলো ২ বছর ধরে এসব গাছ নারিকেলশূন্য। আবার এরমধ্যেই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩০টি গাছ। আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘নারিকেল গাছে ফলন বন্ধ হয়ে আমরা খুব বিপদে আছি। সংসার চালাতেই এখন কষ্ট হচ্ছে।’
আট বর্গকিলোমিটারের সেন্টমার্টিন দ্বীপের আরেক নাম নারিকেল জিঞ্জিরা। দ্বীপের দশ হাজার বাসিন্দার অনেকের আয়ের অন্যতম উৎস নারিকেল। কিন্তু দু’বছর ধরে আশঙ্কাজনকভাবে নেই ফলন।এতে টেকনাফ থেকে ডাব নেয়ায় বাড়তি খরচে জমছে না ব্যবসা।
ডাব ব্যবসায়ীরা জানায়, ডাব যা হচ্ছে তাতে পোকা ধরে সব শেষ হয়ে গেছে। গাছের কী এক রোগ হয়ে এ দ্বীপে ডাব ধরা প্রায় বন্ধের পথে।
নারিকেলের ফলন না হওয়ার বিষয়টি জানে না কৃষি বিভাগ। তবে জেলা প্রশাসন বলছে, বিষয়টি বেশ উদ্বেগের।
কক্সবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কবির হোসেন বলেন, ‘আমরা যদি স্যাম্পল পাই, তাহলে আমরা কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটকে অনুরোধ করব যে টিম নিয়ে গিয়ে আমাদের সমাধান দিতে। তারা যে সমাধান দিবে সে ভিত্তিতে আমরা কৃষককে পরামর্শ দিবো এবং সব ধরনের সহযোগিতা করব।’
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান বলছেন, ‘এখানের অধিকাংশ মানুষের জীবীকার অংশ এটি। সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
অবশ্য সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট বলছে, দ্বীপে অপরিকল্পিত স্থাপনার কারণে নারিকেল গাছের শিকড় বিস্তৃত হতে পারছে না।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আবু সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার বলেন, ‘অপরিকল্পিত স্থাপনার কারণে নারিকেল গাছের শিকড় বিস্তৃত হতে না পারার পাশাপাশি পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় গাছ মরে যাচ্ছে। ফলন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি নারিকেল গাছে এক ধরনের মড়ক লেগেছে। বিষয়টি নিয়ে যারা উদ্ভিদ বিজ্ঞানী আছেন, তাদের গবেষণার প্রয়োজন আছে।’
সেন্টমার্টিনে নারিকেল গাছ রয়েছে প্রায় ১০ হাজারের কাছাকাছি। আর গেলো দুবছরে মারা গেছে প্রায় ৩০০ গাছ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।