জুমবাংলা ডেস্ক : চার বছরের সন্তানসহ প্রথম স্ত্রী (মুসলিম) তানজিলা আক্তার তানিয়া স্বামীর কর্মস্থল বাগেরহাটের শরণখোলায় এসে হাজির হয়েছে। তা দেখে দ্বিতীয় স্ত্রী (হিন্দু) কান্তা হালদার হতবাক হয়ে পড়েন। ওদিকে প্রথম স্ত্রীর আসার খবর শুনে স্বামী নানক সরকার গা ঢাকা দিয়েছেন।
জানা গেছে, খুলনার ডুমুরিয়া এলাকার মাগুরখালী গ্রামের সন্যাসী সরকারের ছেলে নানক সরকার ২০১০ সালের প্রথম দিকে বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজে পড়াশুনা করতে গিয়ে জেলা সদর মুনিগঞ্জ এলাকার আব্দুল আজিজ হাওলাদারের বাসায় গৃহ শিক্ষক ছিলেন। তখন ওই পরিবারের মেয়ে তানজিলা আকতার তানিয়ার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায় ২০১১ সালে কোর্টের মাধ্যমে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। তখন ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী মুসলমান হয়ে নানক সরকার তার নাম পরিবর্তন করে হয়ে যান লোকমান শেখ। বিয়ের চার বছর পর তানজিলার একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। এভাবে চলতে থাকে লোকমান ও তানজিলার সংসার। পরে স্ত্রীর অনুরোধে লোকমান দি একমি ল্যাবরেটরি নামে একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির মার্কেটিং রিপ্রেনজেনটেটিভ হিসেবে চাকরি পান। চাকরির কর্মস্থল হয় শরণখোলা।
চাকরিকালে শরণখোলা থেকে লোকমান তার বাগেরহাটে থাকা স্ত্রী তানজিলাকে মাসে মাসে টাকা পাঠাতেন। কিন্তু গত ৮ মাস আগে লোকমান মুসলিম ধর্ম ত্যাগ করে পুনরায় হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করে খুলনার বৈটাঘাটা গ্রামের সত্তি রঞ্জন হালদারের মেয়ে কান্তা হালদারকে বিয়ে করেন।
দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে নানক তার প্রথম স্ত্রী তানজিলাকে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকেই স্বামীর প্রতি তানজিলার মনে সন্দেহ দেখা দেয়। সন্দেহ অনুযায়ী তানজিলা তার স্বামীর খোঁজ নিতে রোববার বিকেলে চার বছরের একমাত্র ছেলে জীবনকে নিয়ে ছুটে আসেন শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা পাঁচরাস্তা এলাকার নানকের ভাড়া বাসায়। প্রথম স্ত্রী আসার খবর শুনে নানক সরকার গা ঢাকা দেন।
অপরদিকে প্রথম স্ত্রীর দাবি উড়িয়ে দিলেও সত্যটা জানার পর হতবাক হয়ে পড়েন তার দ্বিতীয় স্ত্রী কান্তা।
প্রথম স্ত্রী তানজিলা আকতার তানিয়া বলেন, আমি আমার স্বামীর সাথেই থাকতে চাই। দুই স্ত্রীতে আমার কোনো সমস্যা নাই। দ্বিতীয় স্ত্রী কান্তা হালদার জানান, আমি এমন ঘটনা আগে শুনিনি যে আমার স্বামী মুসলমান হয়ে একজন মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করেছে এবং তার ঘরে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
বাড়ির মালিক শাহজাহান গাজী জানান, নানকের প্রথম স্ত্রী তানজিলা এর আগেও এখানে এসেছে। নানক তাকে নিয়ে ঘুরেছে। এমনকি নানকের মাও জানে যে নানক মুসলমান মেয়ে বিয়ে করে মুসলমান হয়েছে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছাইদুর রহমান বলেন, ঘটনা শুনেছি, ওই ছেলে তার প্রথম স্ত্রী ও ছেলের দায়িত্ব না নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে তার প্রথম স্ত্রী ও সন্তান নানকের সহকর্মী সাধনের বাসায় রয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।