স্পোর্টস ডেস্ক : নাপিতের কাজ পুরুষ মানুষের পেশা। কিন্তু ভারতের দুই তরুণী প্রচলিত এই ধারণাকে ভেঙ্গে দিয়েছেন। যা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে আলোচনা হচ্ছে।
ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের বানওয়ারি তোলা গ্রামের বাসিন্দা দুই বোন নেহা ও জ্যোতি। তাদের বাবা পেশায় একজন নাপিত। ওই গ্রামের ছোট্ট একটি দোকানের উপার্জন দিয়েই তাদের সংসার চলতো।
গত ২০১৪ সালে বাবা অসুস্থ হয়ে পড়লে সংসারের হাল ধরতে নাপিতের কাজ শুরু করেন তারা দুই বোন। নেহা ও জ্যোতির আয়ের টাকা দিয়ে চলতে থাকে অসুস্থ বাবার চিকিৎসা, পরিবার ভরণ-পোষণ ও তাদের দুই বোনের লেখাপড়া খরচ।
শুক্রবার (৩ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইন্সটাগ্রামে ভারতের সাবেক তারকা ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার একটি ছবি পোস্ট করেন। সেই ছবিতে দেখা যায়, নেহা ও জ্যোতিকে গভীর মনযোগে চেয়ারে বসা শচীনের দাড়ি কামাতে।
নিজের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ছবি পোস্ট করে শচীন লিখেন, ‘আপনারা হয়তো এটা জানেন না, আমি আগে কখনো অন্য কাউকে দিয়ে দাড়ি কাটিনি। আজ ওই রেকর্ড ভেঙ্গে গেল। #বারবারশপগার্লস দের সঙ্গে দেখা করতে পারা সত্যিই সম্মানের।’
এরপর শচীন টেন্ডুলকারের এই পোস্ট নেট দুনিয়ায় ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়ে যায়। ১৯ ঘণ্টায় পোস্টে ৮ লাখ ২৫ হাজারের বেশি লাইক পড়েছে। হাজার হাজার মানুষ পোস্টের নিচে কমেন্ট করছেন।
অবশ্য দুই বোন নেহা ও জ্যোতির ইন্টারনেট দুনিয়ায় ঝড় তোলার ঘটনা এটিই প্রথম নয়।
সম্প্রতি তাদের জীবন অবলম্বনে ভারতে নির্মিত একটি বিজ্ঞাপন ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এনডিটিভি সূত্রে জানা যায়, ইউটিউবে বিজ্ঞাপনটি ১ কোটি ৬০ লাখের বেশি বার দেখা হয়েছে।
ওই বিজ্ঞাপনের একটি লাইন হলো : ‘যে ব্লেড দিয়ে দাড়ি কামানো হয় সেটি জানে না তার ব্যবহার একটি মেয়ে করছে, নাকি পুরুষ।’ বিজ্ঞাপনটিতে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লাইন বলে মত দিয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার।
শচীন বলেন, ‘যেখানে স্বপ্ন দেখায় বিভেদ নেই সেখানে আমরা কেন বিভেদ করি?’
‘আশা করি আজকের অনেক শিশু নেহা ও জ্যোতি এবং তাদের গ্রামের অসাধারণ সাহস এবং প্রথা ভেঙ্গে সামনে অগ্রসর হওয়া দেখে অনুপ্রাণিত হবে।’ এমনটাই মনে করেন শচীন।
দুই বোন নেহা ও জ্যোতিকে পেশা জীবনের প্রয়োজন মেটাতে এবং লেখাপড়া করার জন্য বৃত্তিও প্রদান করেছেন শচীন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।