জুমবাংলা ডেস্ক : সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই ভাগ্নেকে হত্যার দায়ে চাচাত মামাসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৩১ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ এম আলী আহমেদ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন চৌহালী উপজেলার কোদালিয়া উত্তরপাড়া মহল্লার মৃত আবদুর রশিদ মাস্টারের ছেলে নিহতের চাচাতো মামা মো. নাছির উদ্দিন (৪০), মো. সহিদুল ইসলাম সাচ্চা (৫০) ও একই মহল্লার মৃত সমেশ আলীর ছেলে মো. ইসরাফিল হোসেন (৬৫)।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান এবং আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মো. আব্দুল মতিন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ইউপি সদস্য শিরিন সুলতানার স্বামী রফিকুল ইসলাম বকুলের সঙ্গে তার চাচাতো বোনের ছেলে মিল্টন হোসেনের সঙ্গে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে কাউছারকে দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় বকুল ও তার স্বজনেরা। সেখানে তাদের মধ্যে বিবাদমান জমি নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মামা বকুল, মামীসহ স্বজনেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে কাউছারকে বেধড়ক মারপিট করে।
সংবাদ পেয়ে কাউছারের বড় ভাই মিল্টনসহ স্বজনরা সেখানে গেলে তাদেরও ওপর হামলা চালিয়ে মারপিট করা হয়। এ ঘটনায় কাউছার ও মিল্টন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার ঢাকা নেওয়ার পথে কাউছারের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মিল্টনকে রাতেই ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুর ১টার দিকে তিনিও মারা যান।
অক্টোবর থেকে সুপারশপে পলিথিন ও পলিপ্রপিলিন ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ
এ ঘটনায় ৮ ডিসেম্বর নিহতের মা মোছা. হায়াতুন নেছা বাদী হয়ে চৌহালী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণের জন্য ১৬ জন সাক্ষী উপস্থাপন করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত সোমবার দুপুরে এ রায় দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।