জুমবাংলা ডেস্ক : সাতক্ষীরার চাঞ্চল্যকর একই পরিবারের চারজন হত্যা মামলায় গ্রেফতার রায়হানুর দায় স্বীকার করেছে। বুধবার (২১ অক্টোবর) প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সিআইডি তথ্যটি জানিয়েছেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে, বেকার রায়হানুর ভাই ভাবির গালিগালাজ সহ্য করতে না পেরে তাদেরকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরে রায়হানুরকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিং এ সাংবাদিকদের ‘একাই চারজনকে হত্যা করা কি সম্ভব’ এ প্রশ্নের জবাবে সিআইডির এক কর্মকর্তা বলেন, ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাদের হত্যা করা হয়। যদিও মাকে হত্যার সময় ছেলে মেয়ে জেগে যাওয়ায় তাদের হত্যা করতে বাধ্য হয়েছে বলে তিনি জানান।
তাছাড়া পরের তিনজনকে গ্রেফতারের বিষয়ে তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার গ্রেফতারকৃত তিনজন খালেক, আসাদুল ও রাজ্জাক নির্দোষ কিনা তা চূড়ান্ত তদন্ত শেষে বলা যাবে। বুধবার সকালে তাকে সাথে নিয়ে তার ঘর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি তোয়ালে ও বাড়ির পাশে পুকুর থেকে চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
গত ১৪ অক্টোবর বুধবার রাতে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার খলসি গ্রামে মৎস্য ব্যবসায়ী শাহিনুর রহমান তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন, ছেলে সিয়াম বাবু, মেয়ে তাসনিমকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে কলারোয়া থানায় নিহতের শাশুড়ি ময়না খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন । পুলিশ নিহতের ভাই রায়হানুরসহ চার থেকে পাঁচজনকে নজর বন্দি করে রাখে। ওই দিন রাতে মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর হয়।
সিআইডি পরদিন শুক্রবার রায়হানুরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায়। আদালত রোববার শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। সোমবার সকালে রাহানুরকে রিমান্ডে নিয়ে আসে সিআইডি কার্যালয়ে। দুইদিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রায়হানুর হত্যাকান্ডের দোষ স্বীকার করে বলে সিআইডির এডিশনাল ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।