নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর পশ্চিমপাড়া এলাকায় দুই যমজ ভাই মিলে এক বন্ধুকে কুপিয়ে একটি দশতলা ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। গতকাল সোমবার রাত অনুমান সাড়ে ৭টার দিকে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার সফিপুর জেনারেল হাসপাতাল রোডের ইউনিক টাওয়ারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম সাব্বির হোসেন (২০)। তিনি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার আন্ধার মানিক গ্রামের মৃত মোশারফ উদ্দীনের ছেলে। তিনি এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করার পর আর লেখাপড়া করেননি।
অভিযুক্ত দুই সহোদর হলেন রাকিব ও সাকিব (২৭)। তাঁরা কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে। তাঁরা যমজ ভাই।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কালিয়াকৈর থানার সফিপুর জেনারেল হাসপাতাল রোডে ইউনিক টাওয়ারের ৯ সি ফ্ল্যাটে মা-বাবার সঙ্গে থাকেন রাকিব ও সাকিব। সোমবার বিকেলে রাকিব ও সাকিব তাঁদের পার্শ্ববর্তী এলাকার বন্ধু সাব্বিরকে নিয়ে আড্ডান জন্য ওই ভবনের দশম তলায় যান। সেখানে দীর্ঘ সময় অবস্থান করেন তাঁরা। স্থানীয়রা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভবনের নিচ থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় সাব্বিরকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি মোবাইল ফোন, ধারালো অস্ত্র, মুড়িভর্তি একটি পট এবং একটি বঁটি উদ্ধার করেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা মা-বাবাসহ পলাতক রয়েছেন। পুলিশের ধারণা, রাকিব ও সাকিব সাব্বিরকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ছাদ থেকে ফেলে দেন। তবে কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড, তা জানা যায়নি।
কালিয়াকৈর থানার ওসি এ এফ এম নাসিম বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুতই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। আলামত ও লাশ উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে নিহতের ভাই মহিউদ্দিন বাদী হয়ে রাকিব ও সাকিবের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে আজ মঙ্গলবার মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে ছুটি ঘোষণা করা হলো গাজীপুরের ২৫ কারখানা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।