জুমবাংলা ডেস্ক : ‘জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ অর্জনের’ অভিযোগে নোটিশ পাওয়ার পর দুদকের প্রধান কার্যালয়ে গিয়েছিলেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে তিনি দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হন।
সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি।
সাংবাদিকদের কাছে বিডিনিউজের প্রধান সম্পাদক খালিদী বলেন, রাষ্ট্র ব্যবস্থায় আরেকটু স্বচ্ছতা, সততা আনা উচিত, ন্যায়নিষ্ঠতা থাকা উচিত।
গত ৫ নভেম্বর দুদকের এক চিঠিতে তাঁকে দুদকে এসে বক্তব্য দিতে বলা হয়। দুদক থেকে ফিরে তৌফিক ইমরোজ খালিদী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
দুদকে বক্তব্য দেওয়ার জন্য সময় চেয়ে আবেদন করার পরও কেন দুদকে এসেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি সময় চেয়ে আবেদন করেছিলাম, কিন্তু তারা আনুষ্ঠানিক কোনো উত্তর দেননি। আমি নিয়ম মানতে চেয়েছি। খবর পেয়েছি তদন্তকারী কর্মকর্তা এখনো এসে পৌঁছাননি। কিছুক্ষণ আগে তদন্তকারী কর্মকর্তার ঊর্ধ্বতন পরিচালক, তিনি জানিয়েছেন যে আজকে বক্তব্য নেওয়া হবে না। আমি আইন-কানুন মেনে চলার চেষ্টা করি। যদি না সময়-সীমা বাড়ানো হয় তাহলে কী হতো? আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে যেহেতু জানানো হয়নি। কাজেই আমাকে আসতে হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দুদকের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, উনি সময়ের আবেদন করেছিলেন বৃহস্পতিবার বিকেলে। ওই দিনই অনুসন্ধান কর্মকর্তা তাঁর আবেদনটি গ্রহণ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরের তারিখ জানানো হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। তারপরও কেন তিনি হাজির হয়েছেন তা বোধগম্য নয়।
গত ৫ নভেম্বর দুদকের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছিল, তৌফিক ইমরোজ খালিদীর নিজের এবং বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হিসাবে ‘বিপুল পরিমাণ টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন’ এবং বিভিন্ন ‘অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগে তার বক্তব্য জানা প্রয়োজন।
অভিযোগ ভিত্তিহীন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভিত্তিহীন মানে… সীমাহীন ভিত্তিহীন। একেবারেই ভিত্তিহীন।
বিডিনিউজের প্রধান সম্পাদক বলেন, ‘৬ অক্টোবরের আগে আমার অ্যাকাউন্টে টাকা ছিল না। আমি আমার শেয়ার বিক্রি করেছি, এটা আমার অধিকার। আমার নামে সম্পদ যা আছে সেটা বিক্রি করার অধিকার আমার আছে, সেটা আমি করেছি।’
পদ্মা ব্যাংকের এমডির কাছে অর্থ দাবি করেছিলেন, এমন একটা গুঞ্জন আছে-এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গুঞ্জন নিয়ে তো আমি কোনো কথা বলব না। পদ্মা ব্যাংকের বিষয়ে একজন ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে বলে আমি শুনেছি। পদ্মা ব্যাংকের এমডিকে আমি চিনি না, তার নামও আমি জানি না। জানার চেষ্টাও করি না। খেয়াল করে দেখবেন ফেসবুকে যে পোস্ট দেওয়া হয়েছে সেই পোস্টের কোনো জবাবও দিইনি। জবাব দিতে আমার রুচিতে বেঁধেছে।’
এলআর গ্লোবাল নামের যে প্রতিষ্ঠানটি বিডিনিউজে বিনিয়োগ করেছে, সে প্রতিষ্ঠান বিএসইসি কর্তৃক পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ বলে শোনা যাচ্ছে। এরা বিনিয়োগ করতে পারে না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা এসইসিকে জিজ্ঞেস করতে হবে। আমি জানি না এসইসি কর্তৃক নিষিদ্ধ কিনা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।