নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বহির্নোঙরে চলে যাওয়া ১১টি জাহাজ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে ভিড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের জিসিবি, সিসিটি ও এনসিটি জেটিতে। দুইদিন জাহাজশূন্য থাকা জেটিগুলোতে আবার শুরু হয়েছে কার্যক্রম। ফলে অনেকটা স্বাভাবিক হচ্ছে কার্গো পণ্য ও কনটেইনার ডেলিভারি কার্যক্রম।
অন্যদিকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম শনিবার থেকে সাময়িক বন্ধ থাকার পর সোমবার সকাল থেকে চালু করা হলেও ৯ টি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে এখনো আবহাওয়া পরিস্থিতি বৈরি থাকার কারণে ফ্লাইটগুলো বাতিল করা হয় বলে জানালেন এয়ার এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।
এদিকে মঙ্গলবার (২৮ মে) কর্ণফুলী নদীর হাইটাইডে বন্দরের নিজস্ব অভিজ্ঞ পাইলটের তত্ত্বাবধানে ও শক্তিশালী টাগ বোটের সহায়তায় বন্দর জেটিতে আনা হয়েছে এসব জাহাজ।
বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, সাগর ও নদী উত্তাল থাকায় সোমবার প্রস্তুতি নেওয়ার পরও জাহাজ জেটিতে আনা সম্ভব হয়নি, আজ ১১টি জাহাজ জেটিতে আনা হয়েছে। জোয়ার থাকা সাপেক্ষে আরও জাহাজ আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ১৭ ঘণ্টা পর শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা চালুর দিনও সোমবার (২৭ মে) ৯টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তসলিম আহমেদ।
তিনি জানান, বাতিল হওয়া ফ্লাইটগুলোর মধ্যে ছিল ঢাকা- চট্টগ্রাম রুটের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ২টি, ইউএস বাংলার ৫টি, এয়ার অ্যাস্ট্রা ও নভোএয়ারের ১টি।
সোমবার (২৭ মে) ভোর পাঁচটা থেকে পুনরায় যাত্রীসেবাসহ রানওয়ের কার্যক্রম শুরু হয় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
এর আগে আবহাওয়া অধিদফতর চট্টগ্রামে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রোববার দুপুর ১২টা থেকে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
প্রাথমিকভাবে রাত আটটা পর্যন্ত এ ঘোষণা বহাল থাকবে জানালেও পরে তা সোমবার ভোর পাঁচটায় উন্নীত করা হয়।
এর আগে কলকাতা ও কক্সবাজার বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে বরিশাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।