একটি টেলিস্কোপকে বোঝার জন্য তিনটি জিনিস ভালোভাবে বোঝা লাগবে। এক, মিরর সিস্টেম; দুই, ফিল্ড অব ভিউ এবং তিন, ক্যামেরা। মোট তিনটি আয়না নিয়ে গড়ে উঠেছে এলএসএসটি ক্যামেরার সম্পূর্ণ থ্রি-মিরর সিস্টেম। এটা মূলত ‘পল-বেকার থ্রি-মিরর অ্যানাস্টিগম্যাট’ নামে একধরনের ব্যবস্থার ওপর নির্মিত। ফলে এক বা দুই আয়নার টেলিস্কোপের চেয়ে অনেক স্পষ্ট ও অবিকৃত ছবি পাওয়া যাবে।
এখানে প্রথম ও তৃতীয় আয়নাটি মূলত একটি কাচ দিয়েই তৈরি। ফলে এর মোট দৈর্ঘ্য আর অযথা বাড়েনি। তারপরও এর আয়নাগুলোর সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য হয়েছে ৮.৩ মিটার। মানে পুরো একটি টেনিস কোর্টের সমান! এটি ব্যবহার করে আকাশের ৩.৫ ডিগ্রিজুড়ে ছবি তুলতে পারবে এলএসএসটি।
এই ফিল্ড অব ভিউটা কত বড়, একটা উদাহরণ দিলে বোঝা যাবে। সূর্য ও চাঁদকে পৃথিবী থেকে ০.৫ ডিগ্রিজুড়ে দেখা যায়। আর মোটামুটি সাধারণ টেলিস্কোপগুলোর ফিল্ড অব ভিউ হয় সাকুল্যে ১ ডিগ্রি। এত বিশাল ফিল্ড অব ভিউর ছবি যে বিজ্ঞানীদের দারুণ কাজে আসবে, তা কি আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন আছে?
তার ওপরে আছে ৩.২ গিগাপিক্সেল ক্যামেরা! এর কথা তো আগেই বলেছি। এই কৃত্রিম চোখটি ১০ বছর ধরে ৩৭ বিলিয়ন গ্যালাক্সি এবং নক্ষত্রের ওপর চোখ বোলাবে। প্রতি ২০ সেকেন্ডে ১৫ সেকেন্ড এক্সপোজারের একটি করে ছবি তুলবে এটি। ফলে এক রাতের মধ্যেই জমা হবে প্রায় ২০ টেরাবাইটের মতো তথ্য! এই হিসাবে এক বছরে এটি দুই লাখের মতো ছবি তুলতে পারবে। ক্যামেরাটি স্থাপন করা হয়েছে ভেরা সি. রুবিন অবজারভেটরিতে। এটি দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলির আন্দিজ পর্বতে অবস্থিত। সমুদ্র থেকে প্রায় ২ হাজার ৭৩৭ মিটার ওপরে টেলিস্কোপটির অবস্থান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।