জুমবাংলা ডেস্ক: ‘১৯৯৪ সালে সিরাজগঞ্জের বিএল স্কুলে সহপাঠী হিসেবে পেয়েছিলাম আদনানকে। বেশির ভাগ দিন আমরা পাশাপাশি বসতাম। আমাদের সখ্যতার বড় কারণ ছিল পাঠ্য বইয়ের বাইরের বিষয়েই আমাদের বেশি আগ্রহ ছিল। আমার ঝোঁক ছিল মুভি দেখা আর আদনানের গল্পের বই পড়া। সাত্তার স্যারের বহু ক্লাসে আদনানকে গল্প বলার সুযোগ দেয়া হতো। আমরা মুগ্ধের মতো তার গল্প শুনতাম। সদা হাস্যজ্বল ও বিনয়ী আদনান ক্লাসে সকলেরই প্রিয় ছিল। পরের ক্লাসে সম্ভবত ও চলে গেল খ সেকশনে। ওর বাবা সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। পরের বছর বদলী হয়ে গেলেন। তখন তো মোবাইল বা ফেসবুকের জামানা ছিল না। এরপর আর কোনোদিন দেখা বা কথা হয়নি আদনানের সাথে। কয়েক বছর আগে আমাদেরই আরেক সহপাঠী অমিত বললো, আদনান এসএসএফ-এ আছে। তুই তো পিএম বিট কাভার করিস। দেখা হলে কথা বলিস। আমারও ইচ্ছা ছিল কথা বলার। কিন্তু সেটা আর হয়ে ওঠেনি।
আজ যখন কক্সবাজারে সাবেক সেনা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান পুলিশের গুলিতে নিহত এমন রিপোর্ট ও সাথে ছবি দেখলাম, কেমন জানি ধাক্কা খেলাম। দ্রুত পুরো রিপোর্টটা পড়লাম। বিস্তারিত পড়ে জানলাম সিনহা রাশেদ মানে আমাদের সহপাঠী বন্ধু আদনান সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছা অবসরে গিয়েছিল। কিছুদিন আগে সে ট্রাভেল ভিডিও বানাতে কক্সবাজারে যায়। আজ একটি ঘটনায় পুলিশের গুলিতে সে মারা গেল। একজনের কাছে জানলাম, দুনিয়া ঘুরে দেখবে বলে আদনান সেনাবাহিনী থেকে অবসরে গিয়েছিল।
আজ এত বছর পরে আদনানের খবর এভাবে পাব ভাবতেই পারিনি। আমার শুধু বারবার সাত্তার স্যারের ক্লাসে আদনানের গল্প বলার স্মৃতি মনে পড়ছে।
আদনান হত্যার ঘটনায় সঠিক তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দাবি করছি।’
(লেখাটি জাতীয় দৈনিক কালের কন্ঠের সাংবাদিক তৈমুর তুষারের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে হুবহু কপি করা)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।