বিজ্ঞানীদের জন্য বুর্জ খলিফার ওই অংশ তৈরি করা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। ওই সময়ে চার হাজার টন স্টিল প্রয়োজন হয়েছিল। এর উপর এন্টেনার ওজন ৩৫০ টন। মানুষ সর্বোচ্চ ১৫৪ তলা পর্যন্ত যেতে পারে। ১৫৫ থেকে সর্বোচ্চ ১৬৩ তলা পর্যন্ত মানুষের বসবাসের উপযোগী নয়।
কেননা বাতাসের গতির কারণে উপরের অংশ দুলতে পারে। এটাই বুর্জ খলিফার ইঞ্জিনিয়ারিং এর সবথেকে বড় বিস্ময়। ঝড়ো বাতাস বইলে এভাবেই নিচের ফ্লোরকে রক্ষা করে এ প্রযুক্তি। স্টিল দিয়ে বুর্জ খলিফার উপরের স্পিয়ার তৈরি করা হয়েছে।
বাতাস বইলে এই স্পিয়ার দুলতে থাকে। এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে স্পিয়ারটি সর্বোচ্চ ৬ ফুট পর্যন্ত দুলতে পারে। এটি পুরো দুবাই শহরকে বজ্রপাত থেকে রক্ষা করে। এটি ভেতরে একটি সেন্সর রয়েছে যা বজ্রপাতকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে।
আর এ স্পিয়ারের মধ্য দিয়ে মিলিয়ন ভোল্টেজ বিদ্যুৎ মাটিতে পৌঁছে যায়। এভাবেই বজ্রপাত থেকে দুবাইকে রক্ষা করে এটি। বুর্জ খলিফার এ বজ্রদণ্ড দুবাইয়ের অন্যান্য ভবনকে বজ্রপাতের হাত থেকে রক্ষা করে।
পুরো ভবনে রয়েছে বিশাল আকৃতির স্বচ্ছ প্রতিসারক কাজ। এসব কাঁচ অন্যান্য সাধারন কাঁচের মতো নয়। এগুলো তাপ নিরোধক হিসেবে কাজ করে। বাইরের প্রখর তাপমাত্রা ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না এ প্রযুক্তির জন্য। এ ধরনের কাজ সোলার প্যানেল হিসেবেও কাজ করে।
এভাবে বেশ ভালো পরিমান বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে এটি। এই কাজ যে শুধু সূর্যের তাপ থেকে ভেতরে অবস্থানরত সবাইকে রক্ষা করে তা নয়। বুর্জ খলিফার চূড়ার দিকে তাপমাত্রা থাকে মাত্র 6 ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক্ষেত্রে শীত নিরোধক হিসেবে এটি কাজ করতে পারে। স্থাপত্য শিল্পের এক অনন্য নিদর্শন হচ্ছে বুর্জ খলিফা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।