নিজস্ব প্রতিবেদক: দুবাই এয়ার শো- ২০১৯ এবং আরও কিছু অনুষ্ঠানে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার সন্ধ্যায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট আজ সন্ধ্যা ৭টা ১১ মিনিটে দুবাইয়ের উদ্দেশে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় রাত ১০টা ১০ মিনিটে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। সেখানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান তাঁকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
বিমানবন্দরে অভ্যর্থনার পর আনুষ্ঠানিক মটর শোভাযাত্রা সহকারে তাঁকে দুবাইয়ের হোটেল শাংরি-লায় নিয়ে যাওয়া হবে। দুবাই সফরকালে প্রধানমন্ত্রী এই হোটেলেই অবস্থান করবেন।
প্রধানমন্ত্রী সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাসক মোহাম্মদ বিন রাশেদ আল মাকতুমের আমন্ত্রণে উপসাগরীয় এ দেশটি সফরে যাচ্ছেন।
১৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ও সফল এয়ার শো এবং মধ্যপ্রাচ্য এশিয়া ও আফ্রিকার বৃহত্তম এয়ারোস্পেস ইভেন্ট দুবাই এয়ার শো-২০১৯-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
সারা বিশ্বের ৮৭ হাজার অংশগ্রহণকারী ও ১ হাজার ৩শ’ এক্সিবিটর দুবাইয়ের ভবিষ্যৎ বিমান বন্দর দুবাই ওয়ার্ল্ড সেন্টারে এ উপলক্ষে সমবেত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
চারদিনের আমিরাত সফর শেষে ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরবেন।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দুবাই সফরের সময় তিনটি স্মারক সই হবে। এগুলোর দু’টি হচ্ছে- দুই দেশের বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষের মধ্যে সহযোগিতা চুক্তি ও দুই দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে সহযোগিতা চুক্তি এবং আরব আমিরাতের দুবাইতে বাংলাদেশ দূতাবাসের স্থায়ী ভবন নির্মাণে জমি বরাদ্দ সংক্রান্ত প্রটোকল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ১৮ নভেম্বর আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মরত বাংলাদেশীদের ভোটারলিস্ট প্রণয়ন শুরু এবং স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণে নির্বাচন কমিশনের অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন।
মোমেন বলেন, শেখ হাসিনা দুবাইয়ের শাসক ছাড়াও আবুধাবির যুবরাজ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সশস্ত্রবাহিনীর ডেপুটি সুপ্রিম কমান্ডার শেখ মুহাম্মদ বিন জায়ের আল নাহিয়ান ও ফ্যামিলি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সুপ্রিম চেয়ারওমেন শেখ ফাতিমা বিনতে মোবারকের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর আরব আমিরাতের বড় বিনিয়োগকারী গ্রুপ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও বৈঠকের কথা রয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এ সফরটি বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে আরব-আমিরাতের বিনিয়োগের ওপর ইতিবাচক প্রভাব রাখবে এবং দু’দেশের বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষের মধ্যে সহযোগিতা জোরদারে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।