আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভূমি দুর্নীতির মামলায় বুধবার জামিন পেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে জামিন পেলেও আরও দুটি মামলায় তাকে জেলেই থাকতে হবে। তার আইনজীবী এ কথা জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
ইমরান খান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জমি উপহার নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৮-২২ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি একজন রিয়েল এস্টেট ডেভলপারের থেকে এই জমি নিয়েছেন।
ইমরানের দলের আইনজীবী নাঈম হায়দার পাঞ্জুথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ জামিন মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পাশাপাশি অন্য দুটি মামলায় কারাগারে থাকার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
মামলার দুটির মধ্যে একটি রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁস করা এবং অন্যটি ইসলামী আইন লঙ্ঘন করে বিয়ে করা।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন ইমরান খান।
গত বছরের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ প্রতিষ্ঠাতা। মোট চারটি মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হলেও দুটি মামলায় তার সাজা স্থগিত করা হয়েছে।
২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। এরপর থেকেই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগসহ কয়েক ডজন মামলার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তার নামে।
তার স্ত্রী বুশরা বিবিও ২০১৮ সালে ইমরান খানকে বেআইনিভাবে বিয়ে করার মামলায় কারাগারে রয়েছেন।
বুধবার আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি। এই বেসরকারি কল্যাণ সংস্থাটি ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
জামিনের পরে এক বিবৃতিতে ইমরান খানের দলের মিডিয়া শাখা বলেছে, জমিটি ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য নয় বরং ‘ধর্মীয় ও বৈজ্ঞানিক’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যবহার করেছিলেন ইমরান খান। মূলত তাকে কারাগারে আটকে রাখতে ও জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে আটকাতে এই মামলাগুলো করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।