আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জলপাইগুড়ি থেকে বাগডোগরা যাওয়ার সময় দুর্যোগের মুখে পড়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টার। ১৩ মিনিটেই এটি গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়ার কথা। কিন্তু মাঝ পথে আকাশ কালো করে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। পরে হেলিকপ্টারটি জরুরি অবতরণ করতে হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে পঞ্চায়েতের প্রচারসভা শেষের পরে জলপাইগুড়ির ক্রান্তি থেকে বাগডোগরার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মাঝপথে প্রবল বৃষ্টি শুরু হলে পাইলট সঙ্গে সঙ্গে হেলিকপ্টার ঘুরিয়ে যে দিকে আকাশ পরিষ্কার, সে দিকে চালান। নিচে বৈকণ্ঠপুরের ঘন জঙ্গল থাকায় হেলিকপ্টার নামাতে পারেননি। শেষপর্যন্ত শিলিগুড়ির উপকণ্ঠে শালুগাড়ার কাছে সেবকের এয়ারবেস দেখতে পান পাইলট। সেখানেই জরুরি অবতরণ করেন।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একই হেলিকপ্টারে ছিলেন তার নিরাপত্তারক্ষী স্বরূপ গোস্বামী এবং সাংবাদিক বিশ্ব মজুমদার। তাদের হেলিকপ্টারে বাগডোগরা পৌঁছে সেখান থেকে বিমানে কলকাতা ফেরার কথা ছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আগেই জানিয়েছিল, আবহাওয়া সামান্য খারাপ থাকতে পারে। কিন্তু পাইলট জানান, তিনি বাগডোগরা পর্যন্ত নির্বিঘ্নে চলে যেতে পারবেন। কিছু ক্ষণের মধ্যেই প্রবল দুর্যোগের মুখে পড়ে।শিলিগুড়ির উপকণ্ঠে শালুগাড়ার কাছে যে এয়ারবেস রয়েছে, তা কারোরই জানা ছিল না। অনেকটা কপালজোরেই এয়ারবেসটি চোখে পড়ে পাইলটের। মুখ্যমন্ত্রীসহ কপ্টারের অন্য যাত্রীদের ওই এয়ারবেসের কর্তারা নিরাপদে কাছের সেনা কার্যালয়ে নিয়ে যান। সেখানেই তাদের রাখা হয়।
প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়, সবাই নিরাপদে আছেন। কারও কোনো ধরনের চোট-আঘাত লাগেনি। তবে বড় ধরনের বিপর্যয় যে ঘটতে পারত, তা নিয়ে নিঃসন্দেহ।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস ও আনন্দবাজার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।