দুর্যোগে ভেঙে না পড়ে সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

জুমবাংলা ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একটা কথা মনে রাখতে হবে, দুর্যোগ আসলেই ভেঙে পড়া যাবে না। সেটা সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে।’

আজ সকাল ১০টায় গণভবন থেকে দুটি বিভাগের আট জেলার মাঠ পরযায়ের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ঠদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে দেওয়া সূচনা বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা চিন্তা করেন, সমগ্র বাঙালি জাতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া অস্ত্র তুলে নিয়ে যুদ্ধ করে বিজয়ী লাভ করেছিলাম। অনেকেই মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিল তার সবকিছু ছেড়ে দিয়ে অস্ত্র হাতে নেমে পড়েছিল, তাদের পোশাক ছিল না, একেবারে খালি পায়ে। লুঙ্গি পড়ে মালকোচা মেরে হাতে অস্ত্র নিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। মনে সাহস নিয়েই আমরা বিজয় অর্জন করেছি। এবারও করোনানভাইরাস থেকেও সেই সাহস নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এখানেও বাঙালিকে জয়যুক্ত হতে হবে। সেই চিন্তা ভাবনা নিয়ে আমরা কাজ করছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে সারাবিশ্বের প্রায় আড়াইশ কোটি মানুষ ঘরবন্দি। সারাবিশ্বের অর্থনীতি থমকে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশও বিশ্বের একটি দেশ। তাই বাংলাদেশেও এর প্রভাব রয়েছে। তবে আমরা অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় এরই মধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা প্রণোদনা ঘোষণা করেছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ধাপে ধাপে রফতানিমুখী খাত, বৃহৎ শিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প থেকে শুরু করে সব ধরনের ব্যবসায়ীর জন্য প্রণোদনা ঘোষণা করেছি। পরে কৃষি খাতের জন্য প্রণোদনা দিয়েছি। এই প্রণোদনা কেবল ধান চাষীদের জন্য নয়, মৎস্য-পোল্ট্রি-ডেইরি সব খাতকে প্রণোদনার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। কেউ প্রণোদনার আওতা থেকে বাদ পড়বে না।’

তিনি বলেন, সামনে রোজা চলে এসেছে। রোজার মধ্যেও বিশেষ খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা বজায় রাখার উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। আমরা ভিজিএফ, ওএমএস, কাবিখা কর্মসূচি চালু করেছি। ৫০ লাখ লোক রেশন কার্ডের আওতায় আছে। এছাড়া আরও ৫০ লাখ লোককে কার্ডের আওতায় আনা হবে। এর মাধ্যমে পাঁচ কোটি মানুষ উপকৃত হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা সুবিধা নেবেন তাদের ডাটাবেজ করা থাকবে। আর যারা চাইতে পারবেন না তাদের জন্য আমরা এই ব্যবস্থা নিয়েছি।

এই মহামারীতে বিশ্বে দুর্ভিক্ষ আসতে পারে এমন শঙ্কা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে ধান কাটা শুরু হয়েছে। আশা করি খাদ্যের অভাব হবে না। তাছাড়াও সরকার সবমিলিয়ে ২১ লাখ মেট্রিকটন খাদ্য কিনে রাখব, যাতে খাদ্যের যোগান দিতে পারবো।’