জুমবাংলা ডেস্ক : ময়মনসিংহের নান্দাইলে নিখোঁজ হওয়ার পরদিন আছিয়া খাতুন নামে এক বৃদ্ধাকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে নাতি সাথি বেগম। নিহতের একদিন পর তাকে গ্রেফতার করে থানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে তিনি তার চাচাকে নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।
রোববার ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি এ স্বীকারোক্তি দেন। অপর অভিযুক্ত বাচ্চু মিয়াকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত ৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের ঢাকিপাড়া গ্রামে খালের পাশ থেকে রিয়াছাত আলীর স্ত্রী আছিয়া বেগম (৮০) নামে এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার তিন মেয়ে ও চার ছেলে। সবার বড় ও তৃতীয় ছেলেকে নিয়ে তিনি বসবাস করেন। ২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুরগি খোঁজতে বাড়ি থেকে বের হন আছিয়া। দীর্ঘসময় অতিবাহিত হওয়ার পরও তিনি বাড়ি ফেরেনি। পরদিন বাড়ির পাশে একটি ডোবায় মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় মরদেহের মাথায় ও বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। মরদেহ উদ্ধারের একদিন পর অভিযানে নিহতের নাতনি সাথি আক্তারকে আটক করে থানায় আনা হয়। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে আটক করা হয় চাচা বাচ্চু মিয়াকে (৪৫)।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সাথী জানায়, ওইদিন সন্ধ্যায় হারিয়ে যাওয়া মুরগি খুঁজতে দাদি আছিয়া তার কাছে আসে। পরে রাত নয়টার দিকে পাশেই একটি খালের পাড়ে নিয়ে যায় মুরগি খোঁজে বের করতে। সেখানেই চাচা বাচ্চু মিয়া গলায় টিপে ধরলে আছিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে দাদির পা ও শরীরে চেপে ধরলে চাচা একটি ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। কিছুক্ষণের মধ্যই আছিয়া নিস্তেজ হয়ে যায়। পরে দুইজন মিলে আছিয়ার মরদেহ খালে ফেলে দিয়ে বাড়িতে চলে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নান্দাইল থানার উপরিদর্শক মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, আছিয়ার গলা ও কানে থাকা মূল্যবান কানের দুল ও চেইন নেয়ার জন্য এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে আরও তদন্ত চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।