লাইফস্টাইল ডেস্ক : মানুষ চিন্তিত হবেই। কিন্তু এই উদ্বেগ প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। কেননা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা আমাদের মন ও শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই দুশ্চিন্তা দূরে রাখতে হবে। এটি এমন একটি সমস্যা যা যদি চেক না করা হয় তবে আরও খারাপ হতে পারে। দুশ্চিন্তা জীবনের প্রতিটি দিককে দুর্বিষহ করে তোলে। এই সমস্যা এড়াতে কিছু কাজ করতে হবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৫ অভ্যাস সম্পর্কে-
মনোযোগের অভ্যাস- মনোযোগের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এতে চিন্তা করার প্রবণতা অনেক কমে যায়। আমরা যখন উদ্বিগ্ন, তখন আমরা অতীত নিয়ে নয়, ভবিষ্যতের কথা ভাবি। সেসব চিন্তা না করে সেই মুহূর্তে আপনার চোখের সামনে যা আছে তার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। এটি মনোযোগের অভ্যাস তৈরি করবে।
মন খুলে হাসুন- ২০০৫ সালে পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে সবসময় গম্ভীর থাকার পরিবর্তে উচ্চস্বরে হাসলে ২০ শতাংশ বেশি ক্যালোরি বার্ন হতে পারে। গবেষকরা নিয়মিত কিছু প্রাপ্তবয়স্কদের হাস্যরসাত্মক এবং তুলনামূলকভাবে গুরুতর চলচ্চিত্র দেখানোর পরে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন।
পর্যাপ্ত ঘুম- রোজ অন্তত ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। ঘুম দুশ্চিন্তা কমাতে অনেকটাই সাহায্য করে। একই সঙ্গে মন শান্ত রাখতেও ভূমিকা রাখে পরিমিত ঘুম। ঘুম পর্যাপ্ত হলে তা দুশ্চিন্তা দূর করতে জাদুকরি ভূমিকা রাখে। সেইসঙ্গে মনও শান্ত থাকে। তাই ঘুম যেন ভালো হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। ঘুম ভালো হলে আরও অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
প্রাণায়াম- মন শান্ত রাখতে প্রাণায়াম অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। গভীরভাবে শ্বাস গ্রহণ ও ত্যাগই প্রাণায়ামের মূল নিয়ম। রোজ ভোরে ১০ মিনিট এই ব্যায়াম করলে অনেকটাই উপকার মেলে।
নিজেকে ব্যস্ত রাখুন- দুশ্চিন্তাকে মাথা থেকে দূরে রাখতে হলে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। আপনার মস্তিষ্ক এবং হাত ব্যস্ত থাকে এমন কোন কাজ করুন যেমন গেম খেলুন বা কোন হস্তশিল্প তৈরি করুন। বলা হয়ে থাকে, ‘অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা।’ এটি কিন্তু বাস্তবিকই সত্য। আপনি কোনো কাজ না করে অলসভাবে শুয়ে বসে থাকলে হতাশা আর দুশ্চিন্তা আপনাকে ঘিরে ধরবে- এটাই স্বাভাবিক। তাই যে কোনো কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।