জুমবাংলা ডেস্ক : আগামীকাল ২২ (শুক্রবার) মার্চ বিশ্ব পানি দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ওয়াটার ফর পিস’। এই প্রতিপাদ্যের প্রতিফলন ঘটাতে পরিবেশ ও নিরাপদ পানি সুরক্ষায় টঙ্গী কারখানায় অত্যাধুনিক পানি শোধনাগার (ডব্লিউডব্লিউটিপি) স্থাপন করেছে জেটি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (জেটিআইবি)। এই শোধনাগারের মাধ্যমে দূষিত পানিকে পুনঃব্যবহারযোগ্য করা যাবে।
পানি শোধনাগার প্ল্যান্ট নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে প্রায় ১০ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয় করা হয়। অ্যাডভান্সড মেমব্রেন বায়োরিয়্যাক্টর (এমবিআর) প্রযুক্তিসম্পন্ন এই প্ল্যান্ট পরিবেশগত স্থানীয় ও বৈশ্বিক বিধি অনুযায়ী এবং ভবিষ্যতে আপগ্রেডের ব্যবস্থা রেখে নির্মাণ করা হয়। টেকসই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আগামীতে বর্জ্য বা দূষিত পানির পুনঃব্যবহার শতভাগ নিশ্চিতের লক্ষ্যে জেটিআইবি-এর এই বিশেষ উদ্যোগ।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডিআইএফই)-এর ইন্সপেক্টর জেনারেল (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ আব্দুর রহিম খান সম্প্রতি জেটিআইবি এর টঙ্গী কারখানা পরিদর্শন করেছেন। তার এই পরিদর্শন সংশ্লিষ্ট খাতের কর্তৃপক্ষ ও সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে সহযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরির প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
মোঃ আব্দুর রহিম খান বলেন, গতানুগতিক পদ্ধতির চেয়ে মেমব্রেন বায়োরিয়্যাক্টর (এমবিআর) প্রযুক্তি ব্যবহার করে আরও দক্ষতার সাথে পানিশোধন ও পুনঃব্যবহার উপযোগী করা সম্ভব। এটি পরিবেশের জন্য আরও টেকসই সমাধান এবং নিকটবর্তী নদী ও খালগুলোতে পানি দূষণ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি আশা করছি। বাংলাদেশের পানি সুরক্ষায় অপরিশোধিতভাবে নিষ্কাশিত বর্জ্য পানিকে কার্যকরভাবে শোধনের মাধ্যমে জেটি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর এই ভূমিকা প্রশংসার দাবিদার।
ডব্লিউডব্লিউটিপি-এর বাইরেও জেটিআইবি সবসময় নিরাপদ পানি সরবরাহে জোর দিয়ে আসছে। উদ্বোধনের পর থেকে, ডব্লিউডব্লিউটিপি কার্যকরভাবে ৪৯,৭৬৩ ঘনমিটার পানি পরিশোধন করেছে। এই পরিশোধিত পানির ৪০ শতাংশ বর্তমানে সেচ কাজ এবং রাস্তা পরিষ্কারের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে।
জেটিআইবি একটি রিভার্স অসমোসিস (আরও) সিস্টেম বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি শূন্য-নিঃসরণ কৌশলে কাজ করার পরিকল্পনা করছে, যা পরিশোধিত পানির সম্পূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করবে। কারখানাটি সক্রিয়ভাবে ফায়ার পাম্প স্প্রিংকলার সিস্টেম এবং টয়লেট ফ্লাশিং ব্যবস্থাগুলোতে শোধিত পানি ব্যবহারের বিষয়টি মাথায় রেখে পরিকল্পনা করছে যা ভূগর্বস্থ পানির ওপর নির্ভরতা হ্রাস করবে এবং নিশ্চিতভাবে দীর্ঘমেয়াদে পরিবেশের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
অন্যান্য কোম্পানির জন্য জেটিআইবির এই ডব্লিউডব্লিউটিপি একটি বিশেষ মডেল হিসেবে কাজ করবে বলে জেটিআইবি বিশ্বাস করে। পানি শোধনের পরিবেশগত এবং সামাজিক সুফল উদাহরণ হিসেবে প্রদর্শনের মাধ্যমে জেটিআইবি ইতোমধ্যেই অন্য দুটি প্রতিষ্ঠানের কারখানাকে তাদের নিজস্ব ডব্লিউডব্লিউটিপি স্থাপনে অনুপ্রাণিত করেছে এবং সারা দেশে অনুরূপ টেকসই অনুশীলনে উৎসাহিত করতে আশাবাদী।
খাদ্য নিরাপত্তায় জমির সর্বোচ্চ ব্যবহারের বিকল্প নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।