জুমবাংলা ডেস্ক : বরগুনার বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হ*ত্যাকা*ণ্ডে এক নম্বর সাক্ষী ছিলেন তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। বিয়ের দুই মাস পর স্বামীকে হারানোর পর থেকেই অপরাধীদের শাস্তি দাবি করে আসছেন তিনি। একই সঙ্গে স্বামী রিফাত হ*ত্যার সঙ্গে তার নিজের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলেও বারবার দাবি করছেন তিনি।
তবে গতকাল বুধবার আদালতের একটি প্রশ্নে চুপ হয়ে যান মিন্নি। ওই প্রশ্নে শেষ পর্যন্ত নিজের দাবির পক্ষে যুক্তিতে অটল থাকতে পারেননি তিনি।
বুধবার নিহত রিফাতের স্ত্রী মিন্নিকে গ্রেফতারের পর আদালতে হাজির করে সাত দিনের রি*মান্ডের আবেদন করে পুলিশ। পরে শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচ দিনের রি*মান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড শুনানিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির আদালতে মিন্নির বিরুদ্ধে তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মিন্নি এ মামলার প্রধান সাক্ষী হলেও তিনি এ হ*ত্যাকা*ণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে গত ১৪ জুলাই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার ১২ নম্বর আসামি রেজোয়ানুল ইসলাম ওরফে টিকটক হৃদয়।
মো. হুমায়ুন কবির আরও বলেন, হ*ত্যাকা*ণ্ডের আগে ও পরে এ মামলার একাধিক অভিযুক্তের সঙ্গে মিন্নি কথা বলেছেন। যার প্রমাণ পুলিশ পেয়েছে। এ ছাড়া মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদে হ*ত্যাকা*ণ্ডে তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সঞ্জীব দাস আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে গণমাধ্যমকে তিনি জানান, তদন্তকারী কর্মকর্তার বক্তব্য শেষে আদালত মিন্নির সঙ্গে কথা বলেন। আদালত মিন্নির কাছে জানতে চান, আপনার পক্ষে কোনো আইনজীবী আছে কি না এবং আপনার কোনো কিছু বলার আছে কি না?
জবাবে মিন্নি বলেন, ‘আমি নির্দোষ। আমি রিফাত হ*ত্যাকা*ণ্ডের সঙ্গে জড়িত নই। আমি আমার স্বামী রিফাত শরীফ হ*ত্যাকা*ণ্ডের বিচার চাই।’
তখন আদালত হ*ত্যাকা*ণ্ডে অভিযুক্তদের হ*ত্যার আগে ও পরে মোবাইলফোনে কথোপকথনের পাশাপাশি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে মিন্নি চুপ হয়ে যান এবং কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে আদালতের বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী তার পাঁচ দিনের রি*মান্ড মঞ্জুর করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।