স্পোর্টস ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দেশে কিংবা বিদেশে টেস্ট ক্রিকেটে কখনও জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। সাফল্য বলতে ঘরের মাঠে পাওয়া ড্র। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে গিয়ে সেই ড্র করাটাও যেন দূরের মরীচিকা। সেই বাংলাদেশই এখন জাগিয়েছে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জয়ের উজ্জ্বল সম্ভাবনা। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে সিরিজের প্রথম টেস্টের চার দিন শেষে চালকের আসনে রয়েছে বাংলাদেশই।
ব্যর্থতার দেয়াল ভাঙার খুব কাছে বাংলাদেশ দল। নিউজিল্যান্ডে ইতিহাস গড়তে আগামীকাল বুধবার মাঠে নামবে টাইগাররা। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে এখন চালকের আসনে মুমিনুল হকের দল। এযাবৎ দ্বিপাক্ষিক সিরিজে নিউজিল্যান্ডে কোনও ম্যাচ না জেতা বাংলাদেশ দল এবার সে দেশে টেস্ট জয়ের দ্বারপ্রান্তে। চতুর্থ দিনে ৪ উইকেট নিয়ে দলকে খেলায় ফেরানো এবাদত হোসেন জানালেন, চেষ্টা থাকবে দেশকে জিতিয়ে ফেরার।
নিউজিল্যান্ড থেকে পাঠানো ভিডিও বার্তায় এবাদত বললেন, ‘দেশে ও দেশের বাইরে দুই কন্ডিশনেই আমি খেলেছি। দেশে আমাদের উইকেট একটু ব্যাটিং সহায়ক থাকে, ফ্লাট থাকে। সেখানেও আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে উইকেট বের করা যায়। বিদেশের মাটিতে প্রথম দিন, প্রথম দুই ঘন্টা সাহায্য থাকে। তারপর কিছুটা ফ্লাট হয়ে যায়। আমরা এখনো শিখছি কিভাবে দুই জায়গায় বল করা যায়। বল পুরোনো হলে কিভাবে রিভার্স করা যায়। আমরা এখনো শিখছি। আমরা চেষ্টা করব আগামীকাল দেশকে জেতাতে লড়বো।’
১০ টেস্ট খেলে ফেলা এই পেসারের পরিসংখ্যান সুখকর নয় মোটেও। এই টেস্টে এবাদতের একাদশে থাকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। ক্যারিয়ারের ১১ নম্বরে টেস্ট খেলতে নামা এবাদত যেন কড়া বার্তা দিলেন, কেন তাকে টেস্ট দলে রাখা হয় নিয়মিত। তার কল্যানেই শেষ বিকেলে নিউজিল্যান্ড হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। চার দিন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে কিউইদের লিড ১৭ রানের।
তৃতীয় উইকেটে উইল ইয়ং আর রস টেলরের পার্টনারশিপ চিন্তার ভাজ ফেলেছিল বাংলাদেশ শিবিরে। পরে ত্রাতা হয়ে আসেন এবাদত। নিজের ১৩ ও ১৪ নম্বর ওভারে জুটি ভাঙার পাশাপাশি তুলে নেন ২ উইকেট। শুরু করেন ফিফটি করে শতকের দিকে ছোটা ইয়ংকে দিয়ে। ৬৯ রান করা এই ওপেনার বোল্ড হওয়ার পর নতুন ব্যাটসম্যান হেনরি নিকোলসকে রানের খাতাই খুলতে দেননি এবাদত। শূন্য রানে ফিরিয়েছেন বোল্ড করে।
নিজের পরের ওভারে ফেরান টম ব্লানডেলকে। লেগবিফোরের ফাদে পড়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন ব্লানডেল। তার আগে এবাদতের শিকার প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান ডেভন কনওয়ে।
এবাদত বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের সতীর্থরা ও সাপোর্ট স্টাফটা সবাই খুব সাহায্য করেছে। নিউজিল্যান্ডে আমাদের আগের ম্যাচগুলোতে এতো ভালো করতে পারিনি। এই দলটাই চাচ্ছে নতুন কিছু দিতে, নতুনভাবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে, দেশের জন্য ভালো কিছু করতে। কিন্তু কাউকে না কাউকে তো ভালো কিছু দিতেই হবে। এই দলের চেষ্টাই এটা যে বিদেশের মাটিতে জেতা শুরু করব।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।