লাইফস্টাইল ডেস্ক : দেশী মুরগীর এই রেসিপি টা আপনারা এই ভাবে বানালে নিশ্চয়ই জানতে পারবেন এর কালার টা এমন লাল কি করে আশে। এছাড়াও প্রেসার কুকারে না দিয়ে এটা এত নরম কি করে হয়, এছাড়া কোন সময় কি মসলা দিলে এর টেস্ট টা অনেক গুণ বেড়ে যাবে সেই সব কিছু নিয়ে আজকের রেসিপি দেশী মুরগীর কষা রান্নার সব থেকে সহজ রেসিপি ।
উপকরণ :
দেশি মুরগি
হলুদ গুঁড়ো
নুন
সরষের তেল
পিয়াঁজ
কাচা লঙ্কা
আলু
রসুনের কোয়া
সরষের তেল
তেজপাতা
গোটা জিরে
আদা রসুন বাটা
কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো
টমেটো
ধনে গুঁড়ো
গোলমরিচ গুঁড়ো
পানি
পদ্ধতি:
১. এই দেশী মুরগীর রেসিপি জন্য প্রথমে আমাদের নিতে হবে দেশি মুরগ, আমি এখানে মোট ১ কিলো দেশি মুরগি নিয়েছে । আর সেটাকে ম্যারিড করে নিতে হবে, এক চা চামচ হলুদ সাথে, সাদ মত লবণ আর ১ চা চামচ সর্সের তেল দিয়ে । আপনারা এই দেশী মুরগীর কষা রেসিপি টা ছাল সমেত করে নিতে পারেন, আমি এইখানে ছাল ছাড়াই করে নিচ্ছি । বৈলার মুরগীর তুলনায় এই দেশী মুরগীর রান্না টা অনেক টাই কঠিন হয়, তাই এইটা রান্না হতে অনেক টাই সময় লাগে । তাই লবণ আর হলুদ মাখিয়ে ১০ মিনিট মত রেখে দেবেন ।
২. এই দেশী মুরগীর কষা রান্নার জন্য ৪ টি পেয়াজ লাগবে ( ১ কেজি দেশী মুরগীর জন্য ), আর পেঁয়াজ গুলি করে একটু মোট মোট করেই কেটে নিতে হবে, যেহেতু এই চিকেন গুলো রান্না হতে সময় লাগে তাই আপনারা যদি পেঁয়াজ গুলো পাতলা করে কাটেন সেক্ষেত্রে পেঁয়াজ গুলো জ্বলে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে, তাই একটু মোটা মোটা করে কেটে নেবেন, যে ভাবে আমরা বেরেস্তা করি ।
আরো ২ টি পেঁয়াজ নিয়ে নিয়েছি যেটা আমাদের পেষ্ট করে নিতে হবে । আর পেষ্ট করার সময় খুব বেশি জল দিতে হবে না, সামান্য একটু জল দিয়ে পেঁয়াজ গুলো পেষ্ট করে নিতে হবে ।
৩. ঝালের জন্য আপনাদের ৭ থেকে ৮ টি কাঁচালঙ্কা মাঝখান থেকে কেটে নিতে হবে ।
৪. এই দেশী মুরগীর কষা টা বানানোর জন্য ৪ টি মাঝারি মাপের আলু ও ব্যবহার করবো । আপনারা যদি আলু পছন্দ না করেন সে ক্ষেত্রে আপনারা আলু ব্যবহার নাও করতে পারেন । কিন্তু আলু দিয়ে দিলে কিন্তু এর সাধ টা সুন্দর হয় । আলু টাকে আপনারা মাঝ থেকে কেটে ২ পিস করে নিতে হবে । কাটা হয়ে গেলে এইটা রেখে দিতে হবে জলের মধ্যে, যাতে এই টা কালো না হয়ে যায় ।
৫. দেশী মুরগীর কষা বানানোর জন্য আমাদের আদা রসুন বাটা তো লাগবেই, তার সাথে নিয়ে নিতে হবে ১০ থেকে ১২ টা রসুন এর কয়া । রসুন গুলো কে সামান্য একটু লবণ দিয়ে, হামান দিস্তা তে ভালো করে থেঁতো করে নিতে হবে ।
৬. দেশী মুরগীর কষা বানানোর জন্য একটি করাই তে ৫০ মিলি সোর্সের তেল দিয়ে একটু গরম করে নিতে হবে । আর গরম হয়ে গেলে আপনাদের এর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে ২ টি তেজ পাতা সাথে ১ চা চামচ গোটা জিরে, আর আগে থেকে কেটে রাখা কাচা লঙ্কা তার পর এই সব কিছু এক সাথে ভালো করে ভেজে নিতে হবে, আর এই দেশী মুরগীর কষা রেসিপির মসলার সময় গুলো কিন্তু একটু আলাদা । এই সব কিছু ভাজা হয়ে গেলে এর মধ্যে দিয়ে দিন আগে থেকে কেটে রাখা পেঁয়াজ গুলি । আর সেটা কেউ গ্যাসের আঁচ টাকে মিডিয়াম রেখে ৫ থেকে ৭ মিনিট আপনাদের ভালো করে ভেজে নিতে হবে ।
( নোট : পেঁয়াজ টাকে কিন্তু খুব বেশি লাল করে ভাজলে চলবে না ), যখন দেখবেন হালকা হালকা লাল হয়ে এসছে তখন আপনাদের দিতে দিতে হবে, করা মেরিনেট করা চিকেন টা । আর তার পর আপনাদের পেঁয়াজ এর সাথে চিকেন টা ভালো করে ভেজে নিতে হবে । মোটা মুটি ১ থেকে ২ মিনিট ভেজে নিতে হবে ।
৭. এর পর এর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে পেয়াঁজ এর পেষ্টটা । আর পেঁয়াজ এর পেষ্টটা দেয়ার সাথে সাথেই দেখবেন আস্তে আস্তে জল টা ছাড়া শুরু করবে । পেঁয়াজ এর পেষ্টটা দেয়ার কারনে যে বড় পেঁয়াজ গুলো আছে সেগুলো আস্তে আস্তে গোলে যাবে, আর গ্রেভি টা একটু মাখা মাখা হবে । আর এই চিকেন টা ভাজার সময় আলু গুলোকেও একটু ভেজে নেবেন ।
৮. আলু গুলো ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে এর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে ২ চা চামচ আদা রসুন বাটা, রঙ এর জন্য হলুদ আর ২ চা চামচ কাশ্মীরি লংকার গুরো, আপনারা যদি প্রথমেই মসলা দিয়ে দিতেন সেক্ষেত্রে এতক্ষনে কিন্তু এটা কালো হয়ে যেত, আর যে সুন্দর লাল রং টা আসতো সেটা আসতো না ।
৯. এখন এর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে সাধ মত লবণ, এই লবণ টা দেয়ার সাথে সাথে দেখবেন চিকেন থেকে জল টা ছাড়া শুরু করেছে । তার পর এই সময় দিয়ে দিতে হবে এক চা চামচ ধনে গুরো আর ১/২ চা চামচ গোল মরিচ গুড়া । এইবার ভালো করে মিশিয়ে আবার ঢাকা দিয়ে রেখে দিতে হবে ১০ মিনিট এর জন্য ।
১০. ১০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দেখবেন চিকেন থেকে জল বেরিয়ে এসছে আর আলুটাও এই সময় অনেক টাই সেদ্ধ এসেছে । এবার এই দেশী মুরগীর কষা টাকে ভালো করে সেদ্ধ করার জন্য দিতে দিতে হবে পরিমান মত জল, খুব বেশি জল এখানে দেয়ার দরকার নেই, কারণ চিকেন টা মোটা মুটি এই সময় ৮০% সেদ্ধ হয়ে গেছে ।
১১. এই বার শেষ বারের জন্য ঢাকা দিয়ে গ্যাস এর আঁচ টাকে মাঝারি করে ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে, মোটা মুটি ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগবে ভালো করে দেশী মুরগীর কষা সেদ্ধ করার জন্য । ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ঢাকনা খুললেই দেশী মুরগীর কষা রান্না হয়ে গেছে, জল টা একদম কম এসচে আর রং টাও অনেক সুন্দর হয়ে গেছে । সব শেষে আপনারা দিয়ে দিতে হবে থেঁতো করে রাখা রসুন, আর ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে ।
তাহলে আশা করি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কত সহজে দেশী মুরগীর কষা রান্না কর কতটা সোজা । শুধু আপনাদের এই ভাবে করে নিতে হবে তাহলে আপনারা বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারবেন দেশী মুরগীর কষা । গরম গরম ভাত এর সাথে দেশী মুরগীর কষা পরিবেশন করুন ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।